সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০১৮
ডেস্ক নিউজ :: সিলেটে ছাত্রদলের কমিটিকে কেন্দ্র করে বিরোধ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিএনপির দুই প্রভাবশালী বলয়ে। ছাত্রদলের কমিটি কার্যত দুই মেরুতে দুই নেতা। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বেচ্ছা বিষয়ক সম্পাদক এক সময়ের তুখোর ছাত্রনেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের সাথে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের। আর এ নিয়ে উত্তপ্ত সিলেটের রাজপথ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সর্বত্র।
জানা যায়, সপ্তাহ দুয়েক আগে কেন্দ্র থেকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত কমিটিতে আধিপত্য দেখা যায় মুক্তাদির অনুসারীদের। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদিপ জোত্যি এষ ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক আহসান রাব্বি সহ বেশিরভাগ পদধারীরাই মুক্তাদির অনুসারী বলে পরিচিত।
অন্যদিকে ঘোষিত কমিটিতে আব্দুল মোতাকাব্বির সাকিকে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনি সম্পাদক করা। সাকি সর্বশেষ জামান বলয়ের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর সে জামান বলয় ছেড়ে দেয়।
ঘোষিত কমিটিতে জামান বলয়ের কেউ নেই বললেই চলে। ছাত্রদলের কমিটিতে বঞ্চিত করা হয় এমসি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি বদরুল আজাদ রানা, সদস্য সচিব দেলওয়ার হোসেন ও ল-কলেজ ছাত্রদলনেতা আবু ইয়ামিনকে।
এরপর থেকেই মূলত বিরোধের সূত্রপাত। এতদিন সামসুজ্জামান জামান ও মুক্তাদিরের মধ্যে কোন বিষয়ে ঝামেলা না থাকলেও হঠাৎ করে এই দুই নেতার বিরোধে সিলেটের সিলেট বিএনপিতে জামান- মুক্তাদিরের বিরোধ রাজনীতিতে এখন নতুন সমিকরন বিরাজ করছে। যার ফলে আবারো দেখা দিয়েছে সংঘাত-সংঘর্ষের শঙ্কা। পদধারী ও পদবঞ্চিতদের কর্মসূচী পালনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষই মারমুখি অবস্থানে। এ নিয়ে দু’দফা সংঘর্ষও হয়।
সর্বশেষ কাজীরবাজার থেকে মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ টিয়ারশেল ও কাদানো গ্যাস নিক্ষেপ করে মুক্তাদির বলয়ের ছাত্রদলের মিছিল পন্ড করে দেয়। এদিন ২০ নেতাকর্মী আটক করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি ছিলো এই মিছিলের অনুমতি নেয়া হয়নি। এদিকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে জানা গেছে এই মিছিলের উপর হামলার সম্ভাবনা ছিলো । একই সময় বিদ্রোহী হিসেবে পরিচিত সামসুজ্জামান জামান বলয়ের পদবঞ্চিত বিদ্রাহী নেতাকর্মীরাও নগরীর সন্ধ্যাবাজার এলাকায় অবস্থান নেয়।
প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে থাকায় এক পক্ষকে সরিয়ে দিতেই পুলিশ সেদিন কাজিরবাজারে আক্রমনাত্মক হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে সামসুজ্জামান জামানকেও মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd