সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫৩ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জি আর চাল বিতরনের সময় ২মেম্বারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। তারা হলেন,উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন ও একেই ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা বিউটি রানী তালুকদার। স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানাযায়,উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নে গত রবিবার বিকাল ৪টায় সময় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উপজেলার দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের জি আর চাল বিতরনের সময় দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা বিউটি রানী তালুকদার তার ওয়ার্ডের একশত জন সুবিধা ভোগীদের চাল নিজে গ্রহন করেন। এসময় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন মহিলা সদস্যা বিউটি রানী তালুকদার কাছে প্রথমে তিনি কেন যারা চাল পাবার কথা তাদের দিয়ে চাল নিচ্ছেন না জানতে চাইলে কথা কাটাকাটি হয় পরে হাতাহাতিতে গড়ায়। এক প্রর্যাযে পায়ের জুতা দিয়ে আঘাত করতে এক জন আরেক জনকে উদ্ধর্ত হন। এসময় মেম্বার কামাল উদ্দিন সহ আরো অনেকেই তাদেরকে বিরত করেন। ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ঘটনার সময় আমি দু জনকেই থামিয়ে দেই। চেয়ারম্যান সাহেব না থাকায় পরে সমাধান হবে। আবাদত এই বিয়য়টি স্থগিত রয়েছে। আরো জানাযায়,পরে ঐ চাল নেওয়ার পর ৫০কেজির বস্তায় ১০কেজি করে ৫জনে পাবার কথা থাকলেও ৬জনকে দেওয়া হয়েছে চেয়ারম্যান অলিখিত নির্দেশেই। পরে সবার আড়ালে এই ঘটনা সমাধান দিয়ে ওজনে চাল কম দেওয়ার পর বাড়তি চাল দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের সকল সদস্য ১বস্তা করে নিজ নিজ বাড়িতে নিয়েছেন বলে জানায় একেই ইউনিয়নের ইউপি ২নং ওর্য়াডের সদস্য সাইদুর রহমান ছোটন। তিনি আরো বলেন,গরীব মেরে ওজনে কম দেওয়া চাল আমাকে দিতে চাইলেও আমি আনিনি। এই গঠনা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার চলছে। এই বিষয়ে জানতে ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্যা বিউটি রানী তালুকদার ও ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন একেই সুরে জানান,আমাদের মাঝে তেমন কিছু হয় নি। ভুল ভোজা ভুজি হয়েছে আর যা হয়েছে তার সমাধান হয়েছে। দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সচিব নিরাঞ্জন চন্দ্র সরকার জানান,চাল বিতরনে মহিলা মেম্বার ও পুরুষ মেম্বারে সাথে একটি ঘটনা ঘটেছে তার সমাধান হয়েছে। খাদ্য গোদাম থেকে চাল প্রতি বস্তায় ৫০কেজি না ৫১কেজি চাল দিয়েছে। তাই ৫বস্তা চাল ৬জনকে দেওয়া হয়েছে। ৫০কেজির স্থলে ৫১কেজি চাল কিভাবে খাদ্য গোদাম কতৃপক্ষ দিল জানতে চাইলে কোন সু উত্তর দিতে পারেন নি তিনি। এরপর তিনি আরো বলেন,ওজনে কম দেওয়া হলে খুঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকারের কাছে এই বিষয়ে জানতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে বার বার কল দিলে সকালে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দুপুরে ফোন খোলা পাওয়া গেলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd