সিলেট ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০১৮
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে চলছে তোলপাড়। জানা যায় ওই গৃহবধূ উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুন নুরের একমাত্র মেয়ে এবং লাকী গ্রামের আব্দুন নুরের ছেলে সোহেল আহমদের স্ত্রী মাছুমা বেগম (২২)।
সরেজমিন পরিদর্শন ও পারিবারিক সুত্রে জানাযায়,২০১০সালে মাছুমা বেগম অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় সোহেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ের পীড়িতে বসেন। প্রাথমিক ভাবে উভয় পরিবার তাদের এ বিয়ে মেনে নেননি। পরে উভয় পক্ষের নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে উভয় পরিবারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেন। তাদের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয় শাহরিয়ার নাফিজ নামে ছেলেটির বয়স ৬বৎসর। দাম্পত্য জীবনে আরো সূখী,শান্তি ও অধিক আয়ের আশায় সোহেল দোবাইতে পাড়ি জমান। পারিবারিক ভাবে তাদের সংসার ছিল সূখময়। যখন থেকে স্বামী, স্ত্রীর মধ্যে একে অপরকে নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয় তখনই তাদের পরিবারে নেমে আসে নানা বিড়ম্বনা। পরিদর্শনকালে মাছুমার দাদী সূর্যবান বিবি জানান,সোহেল আহমদ দুবাই থাকা কালীন সময়ে মাছূমা বেগম তাদের বাড়ীতে গেলে সোহেল মোবাইল ফোনে মাছুমাকে বিভিন্ন স্থানে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ করতেন এবং বিভিন্নজনের সাথে কথা বলতে নিষেধ করতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময় বাকবিতন্ডা লেগেই থাকতো। সর্বশেষ সোহেল আহমদ চলতি রমজান মাসের প্রথম দিকে দুবাই থেকে বাড়ীতে ফিরেন।
অপর দিকে মাসুমা বেগমের শাশুড়ী জানান, সোহেলের সাথে শুক্রবার জুময়ার নামাজে যাওয়ার পুর্বে মাছুমা বেগমের একাধিকবার কথা কাঠাকাটি হয় এবং তখন থেকে মাছুমা বেগম তার নিজ কক্ষে অস্থান করেন। বিকাল ৩টার দিকে হঠাৎ করে একাধিকবার উচ্চস্বরে ভমির শব্দ শুনে আমি মাছুমার কক্ষে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করি। তখন মাছুমার কক্ষটি ভিতর থেকে তালাবব্দ ছিল। আমি চিৎকার দিলে সোহেল ও পাশ্ববর্তী বাড়ীর লোকজন এগিয়ে আসেন এবং তাদের সহায়তায় ঘরে প্রবেশ করি। কক্ষে প্রবেশের পর দেখতে পাই মাছুমা বিষপান করেছে। আমরা তাৎক্ষনিক বিভিন্ন ধরনের টকজাতীয় জিনিস খাওয়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে চাচা মুহিবুর রহমান ও রাজিবকে দিয়ে সিওমেক হাসপাতালে মাছুমাকে প্রেরণ করি।
এব্যাপারে সোহেলের চাচা মুহিবুর রহমান জানান,মাছুমাকে সিওমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মাছুমা রাস্থায় দুইবার পায়খানা করেন। আমরা মাছুমাকে পরিষ্কার করতে কিছু সময় বিলম্ব হয়। মাছুমাকে সিওমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তারগন বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা করে চিকিৎসা দিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ৯টায় চিকিৎসা চলাকালিন সময়ে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে খবর পেয়ে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ রাজি উল্লাহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল ও সিওমেক হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে তিনি জানান,আমরা এ ঘটনার খবর পেয়ে লাকীগ্রামের সোহেলের বাড়ী পরিদর্শন করি। সেখানে মাছুমাকে না পেয়ে সিলেট এমএজিওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যাই। প্রাথমিক ভাবে মাছুমার শরীর চেকআপ করে কোন আাঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়ািন। ময়না তদন্তের মাধ্যমে মাছুমার মৃত্যুর বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।
কিন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এমন পোষ্ট করেন গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব’র সভাপতি এম এ মতিন —-
সম্মানীত ফেইসবুক বন্ধুরা আমিও রক্তে মাংশে মানুষ আমি ও চাই সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে এই বোনের প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার হোক। আমি সংবাদ প্রকাশ করেছি বোনটির বাবার বাড়ী ও শশুরের বাড়ীর বক্তব্য নিয়ে। বিশ্বাস করুন আপনারা যে বলছেন এ সময় আমাকে এ ভাবে কেউ বলেনি। প্রতিটি মানুষ টাকা উপার্জন করে কিন্তু সব জায়গা থেকে নয়।
তাহার এমন পোষ্ট কারায় শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়। আসলে বিষটি কি? কেউ না বুঝে কমেন্ট করছেন, আবার কেউ জেনেও কমেন্ট করছেন এমন ধরনের কমেন্টে অতিষ্ট হয়েছেন তিনি।
পূণরায় তিনি আবার পোাষ্ট করেন ——
আপনাদের প্রতি যথাযথ সম্মান রেখে জান্তে চাই
আমি যে সংবাদ দিয়েছি এতে মাছুমার দাদী সূর্যবান বিবি,সোহেলের মা এবং ইন্সপেক্টর রাজী উল্লাহের বক্তব্য রয়েছে।
আপনাদের বক্তব্য আমি হলুদ সাংবাদিক। তা আমি মাথা পেথে মেনে নিচ্ছি। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন গোয়াইনঘাট ও সিলেটের মধ্যে কি একজন সৎ ও ভালো সাংবাদিক নাই সঠিক প্রতিবেদন তৈরীর জন্য।
আমারটি না হয় ভূল। হ্যা ভাই অবশ্যই আছেন। ময়না তদন্তের পর আমরা সকলে মিলে সঠিক প্রতিবেদ করবো ইনশাল্লাহ। সম্মিত ভাইয়ের ঘটনাকালীন সময়ে আপনি/আমি কেউই ঘটনাস্হলে উপস্থিত ছিলামনা। এ ছাড়া আপনারা কেউ বলেছেন এ পরিবারে আমাদের ভাগ্নে রয়েছে কেউ বলেছেন বন্ধুর পরিবারকে বাচানোর জন্য, আবার কেহ বলেছে অনেক টাকা খেয়ে সংবাদ হয়েছে। তা কোনটিই সঠিক নয়।আমাদের উপজেলার সবাই আমার বন্ধু। আশাকরি আপনারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd