কটাই বিরুদ্ধে মিলির অভিযোগ প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ১:১১ পূর্বাহ্ণ, মে ৩০, ২০১৮

কটাই বিরুদ্ধে মিলির অভিযোগ প্রত্যাহার

ক্রাইম ডেস্ক :: কটাই মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেন আলোচিত মিলি বেগম। কোতোয়ালি থানায় গিয়ে তিনি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। এ সংক্রান্ত একটি পত্রও তিনি পুলিশের কাছে দিয়েছেন। ফলে সিলেটের জনপ্রিয় একটি চরিত্র কটাই মিয়া আপাতত মিলির অভিযোগ থেকে মুক্তি পেলেন। আর মিলিও গতকাল জানিয়েছেন- ‘কটাইয়ের সঙ্গে যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল সেটির অবসান হয়েছে। আমরা আগের মতো সম্পর্কে ফিরে যাবো।’ গত ৪ঠা মে সিলেটি নাটকের কৌতুক অভিনেতা শাহেদ মোশারফ ওরপে কটাই মিয়ার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় জিডি করেছিলেন মিলি বেগম।

মিলির বাড়ি সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট এলাকার খাসদবিরে। তার পিতার নাম আব্দুল হেকিম। আর শাহেদ মোশারফ সিলেট শহরতলীর সিলাম এলাকার মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে শাহেদ ইতিমধ্যে সিলেটী নাটকপাড়ায় নিজের অবস্থান সুসংহত করে রেখেছেন। এই অবস্থায় মিলির জিডির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সিলেটে। অনেকেই মিলির অভিযোগের সরাসরি প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ঝড় বয়ে যায়। সরাসরি চ্যালেঞ্জও আসে মিলির ওপর। এদিকে- এ ঘটনার পর মিলির আগের একাধিক বিয়ে ও সংসারের নানা কাহিনীও আলোচিত হয়। একসঙ্গে একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেম ও অভিসারের ঘটনাবলীও অজানা থাকে না। ফলে শাহেদ মোশারফের চেয়ে মিলিকে সবচেয়ে বেশি কৌতূহল দেখা দেয় সিলেটে। প্রথমে সিলেটী নাটকপাড়ার বেশ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তি শাহেদ ও মিলির বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সিলেটের নাটকপাড়ার লুলন মুহাম্মদ এসব বিষয় নিয়ে মিলি ও শাহেদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। কিন্তু লুলনের আব্দার রাখেননি মিলি বেগম।

এদিকে মিলিকে দমাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন শাহেদ ওরপে কটাই। মিলি বিএনপি ঘরানার এক কর্মী। এ কারণে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য যায় সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের টেবিলে। সেখানে মিলি ও শাহেদ কয়েক দফা বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তাদের দুজনের বিরোধ মেটাতে উদ্যোগী হন আলী আহমদ। তার প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন মিলি বেগম। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে মিলিকে প্রথমে শাহেদের পক্ষ থেকে পাওনা টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়। এরপর প্রতি মাসে তার পাওনা টাকার একটি কিস্তি দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে- গত রোববার সিলেটের কোতোয়ালি থানায় লিখিত দিয়ে মিলি তার অভিযোগ করে প্রত্যাহার করে নেন। এতে মিলি উল্লেখ করেছেন- ‘বিষয়টি আমরা সালিশানদের সামনে নিজেরা নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি। উভয়পক্ষ সালিশানদের সিদ্ধান্ত মানিয়া সুষ্ঠু সমাধানে সন্তুষ্ট হয়েছি।’ ওই পত্রে মিলি সাক্ষী হিসেবেও তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। গতকাল বিকালে মিলি বেগম জানিয়েছেন- কটাইয়ের বিরুদ্ধে আমার এখন আর কোনো অভিযোগ নেই। লেনদেনের বিষয়ে আমরা সমঝোতায় মিলিত হয়েছি। এখন থেকে আমরা আগের মতো সম্পর্ক রেখে চলবো।

কেউ কখনো কারো বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না বলে জানান মিলি। আর কটাইও সমঝোতায় সন্তুষ্ট। তিনি জানান, মিলি আমার ভালো বন্ধু সেটি আগেও বলেছি, এখনো বলছি। তার সঙ্গে বন্ধু পর্যন্ত সম্পর্ক। এর বেশি কিছু নয়। আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। সেটির অবসান হয়েছে বলে জানান তিনি। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ জানিয়েছেন, ‘বিষয়টি সামাজিকভাবে বসে আমরা শেষ করেছি। দুপক্ষকেই সমান সমান অবস্থানে রেখে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে বলে জানান তিনি।’

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..