বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লালটেক গ্রামে মোরগ নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পরদিন শনিবার রাতে প্রতিপক্ষের ৮জনের নামোল্লেখ করে এবং ৪/৫জনকে অজ্ঞাত আসামী রেখে মামলাটি (নং-২৪) দায়ের করেন সংঘর্ষে নিহত আনোয়ার আলীর ছোটভাই আলাউদ্দিন।
মামলার নামোল্লেখিত আসামীরা হলেন লালটেক গ্রামের মৃত ছিফত উল্লাহর পুত্র ছিদ্দেক আলী, মৃত নজব আলীর পুত্র আবদুল জব্বার, ছিদ্দেক আলীর দুই পুত্র ইউসুফ, মিজান, দুই মেয়ে রোসনা, হালিমা, স্ত্রী সাফিয়া বেগম ও মৃত ছিদ্দেক আলীর পুত্র আনছার মিয়া। এদের মধ্যে ঘটনার দিন রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় নিয়ে আসা প্রধান আসামী ছিদ্দেক আলীর স্ত্রী সাফিয়া, দুই মেয়ে রোসনা, হালিমা ও অপর আসামী আবদুল জব্বারকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হচ্ছে বলে জানালেন থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) দুলাল আকন্দ।
মামলার এজাহারে বাদী আলাউদ্দিন উল্লেখ করেন, ‘ছিদ্দেক আলীরা খারাপ ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় তাদের উপর আমাদের দায়ের করা একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে আমাদের একটি মোরগ ছিদ্দেক আলীর বারান্দায় গেলে সে পূর্ব শত্রুতার জেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মোরগটি মেরে ফেলে। আমার ভাই আনোয়ার আলী এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে ছিদ্দেক আলী সংঘবন্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমার পিতা ও ভাই আনোয়ার আলীকে গুরুতর আহত করে। আমাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমার পিতা ও ভাইকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত ১২টায় আমার ভাই আনোয়ার আলী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।’
উল্লেখ্য, উপজেলার অলংকারী ইউনিয়নের লালটেক গ্রামের মসকন্দর ও ছিদ্দেক আলীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে শুক্রবার বিকেলে একটি মোরগ মারাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় গুরুতর আহত হন মসকন্দর আলী ও তার ছেলে আনোয়ার। পরে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
Sharing is caring!