সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, মে ২৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক ::
সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটি নির্বাচনের পর এবার সিলেট,রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় স্থানীয় সরকারের নির্বাচনযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর ভোট নিয়ে আর কালক্ষেপন করতে চায় না সাংবিধানিক এই সংস্থাটি। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরই বাকী থাকা এই তিন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন সেড়ে ফেলতে চায় ইসি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশন দায়িত্বগ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের বেশ কয়েকটি উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন আয়োজন সম্পন্ন করেছে। এরমধ্যে স্থানীয় সরকারের বড় পরিসরের নির্বাচন সিটি কর্পোরেশন ভোট আয়োজন করেছে তিনটি।
সদ্য সমাপ্ত খুলনা সিটির আগে কুমিল্লা ও রংপুর সিটিতে ভোট সম্পন্ন হয়েছে। আইনি জটিলতায় পিছিয়ে পড়া গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোটও ২৬ জুন শেষ হয়ে যাবে। তাই বাকী সিটিগুলো আর ফেলে রাখতে চায় না কমিশন। একাদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ শুরুর আগেই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট সেড়ে ফেলতে চায় ইসি। এলক্ষ্যে রোজার মধ্যেই এসব সিটির তফসিল ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে। আজ ২৯ মে মঙ্গলবার কমিশন সভায় ভোটের দিন-তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে ২০১৩ সালের ১৫ জুন ভোট গ্রহণ হয়েছে। তিন সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে। এ হিসাবে ৫ অক্টোবর রাজশাহী সিটির, ৮ অক্টোবর সিলেট ও ২৩ অক্টোবর বরিশাল সিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগের ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচনের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে কমিশন জুলাইয়ের শেষ দিকে এসব নির্বাচন করতে চায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকীর মাস আগস্টে কোনো নির্বাচন করার বিপক্ষে কমিশন। এ কারণে জুলাইয়ের মধ্যেই তিন সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা ইসির। এলক্ষ্যে রোজায় তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
এবিষয়ে ইসির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তিন সিটির ভোটের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে কমিশন। ওই বৈঠকে সিটি কর্পোরেশনগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ, ঈদের সরকারি ছুটি ও পরীক্ষার বিষয়গুলো বিবেচনা রেখে ভোটের দিন নির্ধারণ করা হবে। আগস্ট জাতীয়ভাবে শোকের মাস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। তাই ওই মাসে কোনো ভোট উৎসব না করাই সমীচিন হবে। খুলনার প্রেক্ষাপটে সামনের সিটি নির্বাচনে ইসি বাড়তি কোনো পদক্ষেপ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লা, রংপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করে কমিশনের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাকী নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও অবাধ করার চেষ্টা করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যা যা করার, কমিশন তাই করবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd