বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ::
সিলেটের বিশ্বনাথে দুই চালকের কথা কাটাকাটির জের ধরে সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৭মে) রাতে তারাবির নামাজ চলাকালে উপজেলা সদরের পুরান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহতরা হলেন- সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালত শুকুর আলী (২৩), জায়েদ আমিন (২০), ব্যাটারী চালিক অটোরিক্সা চালক সাইফুল ইসলাম (৪৫), কুদ্দুছ আলী (৩২) ও ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা সমিতির নেতা ইসতিয়াক খান (২৫)। অন্যান্য আহদের নাম জানা যায়নি। এসময় সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকবৃন্দ একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করেন।
জানা গেছে, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে রোববার রাত ৯টায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক জায়েদ আমিন ও ব্যাটারী চালিক অটোরিক্সা চালক সাইফুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের হামলায় আহত হন ব্যাটারী চালিক অটোরিক্সা চালক সাইফুল ইসলাম। এই সংবাদ পেয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চালকদের উপর হামলা করেন ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সার চালক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। এতে আহত হন জায়েদ আমিন, শুকুর আলী ও ইসতিয়াক খান আহত হন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনার জন্য থানা পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে চেষ্টা শুরু করে। উভয় পক্ষ পরিস্থিতি শান্ত রাখার আশ্বাস দেন। উভয় পক্ষের শ্রমিকদের আশ্বাস পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষন পর পুরঃরায় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালকদের ধাওয়া করেন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা শ্রমিকরা। এতে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক কুদ্দুছ আলী আহত হন তার ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ভাংচুর করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশী এ্যাকশনে পুরঃরায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। উভয় পক্ষের কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, শ্রমিকদের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় উপজেলা সদরের পুরান বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পূর্বেই ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দেন। এতে সাধারণ জনগণকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Sharing is caring!