ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাত জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট আগামী ১ জুন থেকে বিক্রির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি, যদিও এর আগে ২ জুন থেকে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তাদের। গতকাল রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক।
বিশেষ ট্রেনগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা, চাঁদপুর স্পেশাল-১ (চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম), চাঁদপুর স্পেশাল-২ (চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম), রাজশাহী স্পেশাল (রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী), পার্বতীপুর স্পেশাল (পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুর)। এ ট্রেনগুলো ঈদের তিনদিন আগে থেকে চলাচল করবে এবং ঈদের পর আরো ১০ দিন চলবে।
এর বাইরে শোলাকিয়া স্পেশাল-১ (ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার) ও শোলাকিয়া স্পেশাল-২ (ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ) নামে আরো দুটি বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করবে রেলওয়ে। এ ট্রেন দুটি শুধু ঈদের দিন চলাচল করবে।
ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ জুন। ওইদিন ১০ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ২ জুন ১১ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে। একইভাবে ৩, ৪, ৫ ও ৬ জুন বিক্রি করা হবে যথাক্রমে ১২, ১৩, ১৪ ও ১৫ জুনের টিকিট।
ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১০ জুন। ওইদিন ১৯ জুনের ফিরতি টিকিট বিক্রি করা হবে। ১১ জুন বিক্রি করা হবে ২০ জুনের টিকিট। ১২ জুন বিক্রি করা হবে ২১ জুনের টিকিট। ১৩ জুন বিক্রি করা হবে ২২ জুনের ফিরতি অগ্রিম টিকিট। ১৪ ও ১৫ জুন যথাক্রমে ২৩ ও ২৪ জুনের টিকিট বিক্রি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ঈদে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের তিনদিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোনো পণ্যবাহী ট্রেন চলবে না। পাশাপাশি ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ জুন মৈত্রী এক্সপ্রেসও বন্ধ থাকবে। ঈদের পাঁচদিন আগে থেকে সব আন্তঃনগর ট্রেন সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও চলাচল করবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঈদ-পূর্ব অগ্রিম টিকিট বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। এজন্য ঢাকা স্টেশনে ২৬টি কাউন্টার খোলা রাখা হবে।
ঈদ উপলক্ষে ১ হাজার ৪০৫টি কোচ ও ২২৯টি লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে বড় বড় স্টেশনে জিআরপি, আরএনবি, বিজিবি ও স্থানীয় পুলিশ এবং র্যাবের সহযোগিতা নেয়া হবে। এর বাইরে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।