সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৮ অপরাহ্ণ, মে ২৪, ২০১৮
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর সবচেয়ে ব্যস্ততম এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকা জিন্দাবাজার পয়েন্ট। ডিশ লাইন বা ক্যাবল সিস্টেম, বিভিন্ন কোম্পানীর ইন্টারনেট আর জেনারেটর সংযোগের বিভিন্ন তার একসাথে এসে মিলিত হয়েছে এখানে। সরেজমিন দেখা গেছে এই পয়েন্ট ঘিরে পূর্বে জেলরোড, পশ্চিমে জল্লারপার, দক্ষিণে বন্দরবাজার আর উত্তরে চৌহাট্টা পয়েন্ট নিয়ে প্রায় আধ কিলোমিটার এলাকা এখন যত্রতত্র তারের জঞ্জালে পরিপূর্ণ। তারের জঞ্জাল সবচেয়ে বেশি ঘিজঘিজ করছে জিন্দাবাজার পয়েন্টে। আর সবচেয়ে বিপজ্জনক ভাবে তার ঝুঁলে আছে পশ্চিম জিন্দাবাজারে বিপনীবিতানের সামনে ফুটপাতের উপর। এখানে মাটি থেকে চার থেকে পাঁচ ফুট উপরে ঝুঁলে আছে তারের বান্ডিল। সেই বান্ডিল থেকে কিছু কাটা তার আবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এদিক সেদিক। কিছু তার ফুটপাত ছাড়িয়ে নেমে গেছে সড়ক পর্যন্ত। ছড়ানো এসব তারে হাঁটার সময় জড়িয়ে যাচ্ছে পথচারীদের। অভিভাবকদের সাথে আসা বাচ্চারা টানাটানি শুরু করে দেয় এসব তার নিয়ে। এর বাইরে রাস্তায় নেমে আসা তার ঢুকে যাচ্ছে রিকশা কিংবা সাইকেলের স্পুক গলে রিংয়ের ভেতর। আর এতে করে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
প্রায় একই চিত্র জিন্দাবাজার পয়েন্ট লাঘুয়া সবগুলো সড়কের মুখে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলো সরাসরি কাউকে দোষারোপ না করলেও একপক্ষ দায় চাপাতে চাইছেন অন্য পক্ষের উপর।
এ ব্যাপারে সিলেটে ক্যাবল অপারেটরদের প্রতিষ্ঠান সিলেট ক্যাবল সিস্টেম (এস.সি.এস) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, এটি একটি সম্মিলিত উদ্যোগের ব্যাপার। সবাই একসাথে মিলে এ নিয়ে কাজ করতে হবে। সিসিকের সাথে তাদের এনিয়ে আলাপ হয়েছে। তিনি জানান, এস.সি.এস এর সংযোগগুলো এমনিতেই অনেক উপরের দিকে থাকে। বিচ্ছিন্নের পর নতুন করে আবার যখন সংযোগ দেয়া হয় তখনও তাদের তারগুলো জনগণের চলাচলের অনেক উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাই লোকজনের ধরাছোঁয়ার মধ্যে ঝুলে থাকা যে তারের কথা বলা হচ্ছে এগুলো আসলে তাদের নয়, ইন্টারনেট বা জেনারেটরওয়ালাদের হতে পারে।
আর ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন নেটওয়ার্ক এসোসিয়েশন ইন সিলেট এর আহবায়ক শরিফুল আজম চৌধুরী দিপু ঝুলে থাকা তারের কথা স্বীকার করে বলেন, মূলত দ্রুত সংযোগ পুন:স্থাপনের বিষয়টি মাথায় রাখতে গিয়ে তারের বিষয়টি তারা সেভাবে খেয়াল করতে পারেননি। কারণ হঠাৎ করে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে ব্যাংকিং সেক্টর সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তাই প্রথমেই তারা সংযোগের বিষয়ে গুরুত্ব দেন। এরপরই তারা তার সুবিধাজনক জায়গায় প্রতিস্থাপনের দিকে নজর দেন। অনেক জায়গায়ই তারা সেটা করে ফেলেছেন। কয়েকটি জায়গায় তারা এখনো তা করে উঠতে পারেন নি। তবে দু একদিনের মধ্যেই তা শেষ হয়ে যাবে বলে জানান দিপু। তিনি বলেন, মাঝখানে কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে তাদের কাজে সমস্যা হয়েছে। কাজ দ্রুত করা যায়নি। এর বাইরে বেশকিছু অনুমোদনহীন ইন্টারনেট কোম্পানী সিলেটে বিভিন্ন জায়গায় সযোগ টেনেছে। যাদের কোনো পরিচয় তারা নিশ্চিত হতে পারেন নি। এদের অনেকেক যত্রতত্র তারের কারণেও তাদের কাজে কিছুটা সমস্যা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd