সিলেট ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০১৮
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুরের হলিয়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী আঞ্জব আলীর ছেলে মুজাহিদ আলী জগন্নাথপুর, বিশ্বনাথ সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার মত অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে নির্দিধায়। নিভৃত এলাকায় গরু, ছাগল এমনকি মসজিদের দানবাক্সে রাখা খয়রাতি টাকা চুরি করতে সে দ্বিধাবোধ করে না। এলাকার মানুষ তার এসব অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে চুরিতে হাতে নাতে ধরে থানা পুলিশে কয়েকবার সোপর্দ করে। এমনকি তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয় জগন্নাথপুর থানায়। থানাপুলিশও কয়েকবার তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে সে আবারও এলাকায় চুরি, ছিনতাই, মাদক বিক্রি ও পতিতার ব্যবসা শুরু করলে এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে তাকে উত্তমমাধ্যম দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করেন। জানা যায়, জগন্নাথপুর থানায় কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্ট নিয়েই সে সিলেট নগরীতে তার আস্তানা গড়ে তোলে। এখানেও চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসায় সে বেপরোয়া হয়ে উঠে। এমনকি তার বিরুদ্ধে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরও মাদকসহ হাতে নাতে পাকড়াও করে সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় মোজাহিদ আলীকে মামলা দিয়ে স্থানান্তর করে। পরদিন থানাপুলিশ তাকে আদালতে উপস্থাপন করল বিজ্ঞ আদালত ধৃত মোহাজিদকে কারাগারে প্রেরণ করে। ৩ মাসের অধিক কারাভোগের পর সে জামিনে বেরিয়ে এসে সিলেটের চিহ্নিত কিছু ছিনতাইকারী, চোর ও মাদক বিক্রেতাদের সাথে গড়ে তোলে গভীর সখ্যতা। এমনকি মেট্রো এলাকায় তাকে প্রতিদিনই ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সিলেটের বিভিন্ন পুলিশের সাথে তার রয়েছে দহরমমহরম। পুলিশের কাছে সে এম আলী নামে পরিচিতি লাভ করে। সম্প্রতি জগন্নাথপুর থানাসহ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার কয়েকটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। তারপরও এম আলী নামের এই মোজাহিদ কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না এমনটাই প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। এ ব্যাপারে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে মোজাহিদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে বিভিন্ন থানা পুলিশ জানায়। পলাতক আসামী মোজাহিদ আলীর ০১৭৬৩৯২০৮৪১, ০১৭৯৯৪৫৬৭৩৭ ব্যক্তিগত এই দুটো নাম্বারে কয়েকবার ফোন দেয়ার পর সে ফোন রিসিভ করে। এলাকায় তার অপরাধ কর্মকাণ্ডে মানুষের অভিযোগের বিষয়টি জিজ্ঞেস করলেই সে উত্তেজিত হয়ে এই প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে চায়। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর সে বলে ৪/৫ মামলার ওয়ারেন্ট আমার জন্য কিছুই নয়। থানা পুলিশ আমাকে কিছুই করতে পারবে না এই বলেই সে ফোনটি কেটে দেয়। এ ব্যাপারে মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন থুথু ফেলে বলেন, এমন পরিবারের নাম বললেন সাংবাদিক ভাই, এদের নাম নিতেই আমাদের লজ্জা হয়। ওই পরিবারটি অপরাধের স্বর্গরাজ্য বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন। এমনকি ভাই, আমার ছাগলটিও দিনদুপুরে চুরি করে নিয়ে যায় এই মোজাহিদ ও তার সঙ্গীরা। অবিলম্বে মোজাহিদসহ সকল অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে থানা পুলিশের প্রতি জোর দাবি জানান চেয়ারম্যান জমির উদ্দিন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd