হৃদয়বানদের সাহায্যে বাঁচতে চায় স্কুল শিক্ষিকা এমিলি

প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৮

হৃদয়বানদের সাহায্যে বাঁচতে চায় স্কুল শিক্ষিকা এমিলি

ডেস্ক রিপোর্ট :: গোয়াইনঘাট উপজেলার এমিলি বেগম। একটি সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা। যাদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। আলোর পথ দেখান যে শিক্ষিকা সেই শিক্ষিকার জীবন প্রদীপ এখন নিভু নিভু। দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে তার। সমাজের হৃদয়বান মানুষের কাছে জানিয়েছেন বাচাঁর আকুতি।
চিকিৎসকরা বলছেন, তার কিডনী প্রতিস্থাপন সম্ভব। এমিলির ১০ মাসের অবুঝ এক পুত্র সন্তান। ওসমানীনগরের গাভুরটিকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই শিক্ষিকা ১০ মাস ধরে কিডনী রোগে ভুগছেন। তিনি এখন সম্পূর্ন শয্যাশায়ী। স্বামী সামান্য বেতনের একজন চাকুরীজীবী ছিলেন। এখন স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসকদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটে ক্লান্ত। একে একে হারাচ্ছেন সব কুল। কোনোদিকে দিশা না পেয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া দরকার। ওসমানীনগর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের মাহমদ আলীর ছোট মেয়ে ও গোয়াইঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের আলিম উদ্দিনের স্ত্রী এমিলির চিকিৎসার জন্য কমপক্ষে ১৫লক্ষ টাকা প্রয়োজন। কারণ কিডনী প্রতিস্থাপন করতে তার দরকার উন্নত চিকিৎসা। কিন্তু এমিলির পরিবারের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কঠিন। ১০ মাস আগে কিডনীর সমস্যা শনাক্ত হবার পর ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেছে তার। এই টাকা জোগাতেও বাড়ির জমি জমা বিক্রি করতে হয়েছে তাকে ও তার স্বজনকে।
বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিশেষজ্ঞ ডা. আলমগীর চৌধুরীর তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
এমিলির স্বামী আলিম উদ্দিন জানান, গত ১০মাস আগে তার ঘর আলোকিত করে আসে এক পুত্র সন্তান। সন্তান ভূমিষ্টের পর থেকেই কিডনীর সমস্যা দেখা দেয়। এর আগে কিডনীর কোনো সমস্যা ছিলো না। তারপর থেকে প্রতিটি মূহুর্ত কাটছে চরম এক দুশ্চিন্তায়। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালের চতুর্থ তলার দুই নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভর্তির পর থেকে সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে। যার জন্য সপ্তাহে তার খরচ হচ্ছে ৬ হাজার টাকা। এখন হৃদয়বান মানুষ ছাড়া এই পরিবারের সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। তাই সবার দোয়া এবং ভালোবাসাই অবুঝ শিশুটি তার মাকে ফিরে পেতে পারে। সমাজ ধরে রাখতে পারে মানুষ গড়ার একজন কারিগরকে। যার হাত ধরে বহু শিশু শিক্ষার আলো পাবার সুযোগ পাচ্ছে।
এমিলিকে বাচাঁতে এই নাম্বারে (০১৭১২ ০৪৬৮৫৭) বিকাশ করা যাবে। কেউ চাইলে সোনালী ব্যাংক বালাগঞ্জ শাখায় এমিলি বেগম নামীয় হিসেবেও (নাম্বার-৯৯৯০০৮০০৮) সাহায্য পাঠাতে পারবেন। সবার সহযোগিতায় একজন শিক্ষক বাচঁলে দেশেরও কল্যাণ হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

May 2018
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..