মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে রমজানে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিত্যপন্যের দাম বেড়েই চলেছে। এতে কর্মজীবী, শ্রমজীবীসহ নিম্নবিত্তের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাগামহীন হয়ে পড়েছে। পাইকারী বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে দামের রয়েছে বিস্তর ফারাক। সরবরাহের কোনো ঘাটতি না থাকলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বিভিন্ন প্রকার সবজীর দাম ক্রেতাদের লাগালের বাইরে। মসলার বাজারের অস্থিরতাও থামছেনা। এছাড়া তৈল, ডাল্ডা, জিরা, বাখরসহ বিভিন্ন প্রকার মসলার দামও কমছে না। খুচরা বাজারে বিভিন্ন প্রকার মসলার মূল্য তালিকা টানানোর নিয়ম কোনো ব্যবসায়ী মানছেনা। এতে ক্রেতারা নিয়মিত বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। মাছের বাজারেতো রীতিমতো আগুন। মাছ ব্যবসায়ীদের বেপরোয়া অবস্থার মাঝে ক্রেতারা রীতিমতো অসহায়।
রবিবার বিকেলে সরেজমিন উপজেলার সদরের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি সয়াবিন তৈল ১০০-১০৫ টাকা, পেঁয়াজ ২০- ২২ টাকা, রসুন ৯৫-১০০ টাকা, মসুরের ডাল ৫৫-৬৫ টাকা, লবন ২৫-৩৫ টাকা, খেসারি ডাল ৪৮-৫০ টাকা, মরিচ (গুড়া) ২৮০-৩০০ টাকা, চিনি -৫৫ টাকা, আদা ১০০-১১০ টাকা, আলু ২০-২২ টাকা, চানা, ৫৬-৬৩,মটর, ৩৮-৪০, কাঁচা মরিচ ৪৫-৫০ টাকা, বেগুন ৪০-৪৫ টাকা, টমোটো ৪৫-৫০ টাকা, শসা ৫৫-৬০ টাকা, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৪৫-৫০, পেঁপেঁ ২০-২৫টাকা, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা, ব্রয়লার মোরগ কেজি ১৪০-১৪৫টাকা, লাল মোরগীর প্রতিটি ৩৫০-৩৮০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০-৬০০ টাকা, খাসির মাংস ৬০০-৭০০ টাকা, হাসের ডিম (প্রতি হালি) ৩০-৩৫ টাকা, মুরগীর ডিম (প্রতি হালি) ৩০-৩৫টাকা, সামনে এসব দ্রব্যাদির দাম আরো বাড়বে ভাবে ক্রেতা সাধারন শস্কিত হয়ে পড়েছেন।
বাজারে কোনো পন্যের সষ্কট না থাকলেও এক শ্রেনীর মজুদদার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পন্যমূল্য বৃদ্ধি করছে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। ক্রেতারা জানান বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারি কোনো মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মতো বিভিন্ন অজুহাতে পন্যের মূল্য বৃদ্ধি করছেন। এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পন্যের দাম আরো বাড়বে বলে আশস্কা করছেন ক্রেতারা।
মুদি দোকানের মালিক জানান, পাইকারি বাজার কিনে এনে বিক্রি করি। কিছু লাভ ধরে পণ্যে বিক্রি করি। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সঠিক নয়।
উপজেলার সদরের একজন ক্রেতা মাছের আগুন মূল্যে চরম হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বাজারের এই অস্থির অবস্থা থামবে কখন?
এক শিক্ষক বলেন, যেহারে নিত্যপন্যের দাম বাড়ছে, এতে আমাদের মতো চাকরিজীবি মানুষকে নিত্যপণ্যে ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
অটোরকিশা চালক জাকারিয়া বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে আর কমতে চায় না। রমজান মাস আসতে না আসতে নিত্যপণ্যের দাম আরাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবজি ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া বলেন, বেশি দামে সবজি ক্রয় করে আনি,কম দামে বিক্রির করার কোনো সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, ইতিমধ্যে মোবাইকোট বাজার করার জন্য টিম মাঠে নামবে বলে তিনি জানান।
Sharing is caring!