সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ২১, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : অপহরণ নয় প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছি বলে নারায়ণগঞ্জ আদালতে স্বি-কারোক্তি দিয়েছেন উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের মেয়ে নাজিরা আক্তার মিতু। রোববার সকাল পৌনে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে এ স্বিকারোক্তি দেয়।
বেলা সাড়ে ১২ টায় আদালত থেকে বের হলে পুলিশ ২২’ধারা জবানবন্দির কথা বলে নাজিরা আক্তার মিতুকে ফতুল্লা মডেল থানায় নিয়ে যায়। তবে আদালতে স্বি-কারোক্তির কারনে ধৃত সজিবের বড় ভাই নিজামের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন না মুঞ্জুর হয়। এডভোকেট রাশেল মিয়া আদালতে নাজিরা আক্তার মিতুকে আইনি সহায়তা দেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের মেয়ে ফতুল্লা থানার রূপায়ন টাউন এ বসবাসকারী উইসুফ মিয়ার স্ত্রী দু’ সন্তানের জননী নাজিরা আক্তার মিতুর সাথে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে আবুল হোসেন সজিব পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে।
তাদের এ পরকিয়া প্রেম উভয় পক্ষের পরিবারের সবাই জানতে পারলেও নিরব থাকে। পরে আবুল হোসেন সজিবের স্ত্রী এক’সন্তানের জননী সায়মা আক্তার তার স্বামী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ের পরকিয়ার বিচার দাবি করে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর সমাধান চেয়ে গত ২৩ এপ্রিল ২০১৭ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান(অপরাধ) উভয় পক্ষকে শাসিয়ে দেওয়াসহ আবুল হোসেন সজিবের কাছ থেকে লিখিত নেয়। এত কিছু করার পরেও তাদের পরকিয়া প্রেম চলতে থাকে।
অবশেষে উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনের মেয়ের স্বামী উইসুফ মিয়া তার স্ত্রী নাজিরা আক্তার মিতু দু’সন্তান রেখে ১৮ এপ্রিল ১৮ইং তারিখ বিকেলে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় ও আবুল হোসেন সজিবকে সন্দেহ হয় মর্মে ফতুল্লা মডেল থানায় ২০ এপ্রিল ১৮ইং তারিখে ১১১৬নং সাধারন ডায়েরী করে।
অপরদিকে একই ঘটনা উল্লেখ্য করে সজিবের বড় ভাই মোঃ সালাউদ্দিন ২৫ লাখ ১২ হাজার টাকাসহ নাজিরা আক্তার মিতু তার ভাই মিঠু ও শিপু এবং বাবুলের ছেলে কায়েছ আবুল হোসেন সজিবকে প্রাইভেট কার যোগে অপহরন করছে মর্মে ফতুল্লা মডেল থানায় ২৮ এপ্রিল ১৫৪৫নং সাধারন ডায়েরী করে।
থানা কতৃপক্ষ কোন জিডির তদন্ত না করে অতিউৎসাহী হয়ে পরকিয়া প্রেমিকা নাজিরা আক্তার মিতুর স্বামী ইউসুফ মিয়ার দায়ের করা ভূয়া অপহরন মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংষোধনী ২০০৩এর ৭/৩০ধারায় ২৬ এপ্রিল ১০১নং মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামী করা হয় পরকিয়া প্রেমিক আবুল হোসেন সজিব, মুনসুর, জিবন, লিমন ও নাজমুলদেরকে।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ্ মোঃ মুঞ্জুর কাদেরের নির্দেশে উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আবুল হোসেন সজিবের বড় ভাই নিজামকে কথা আছে বলে জালকুড়ি ষ্ট্যান্ডে দেখা করতে বলে। পরে সেখান থেকে তুলে নিয়ে অবৈধভাবে দু’দিন থানায় আটক রাখার পর এজহারের নাম না থাকলেও রহস্যজনক কারনে অপহরন মামলায় আদালতে পাঠায়।
থানা পুলিশ রোববার আদালতে ৭’দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে নাজিরা আক্তার মিতুর স্বি-কারোক্তিতে রিমান্ডের আবেদন না মুঞ্জুর করে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd