ডেস্ক রিপোর্ট : ২২ মের আগে কাউকে আম না কেনার পরামর্শদ দেয়া হয়েছে। কেননা ওই সময়ের আগে রাজশাহী ও সাতক্ষীরার বাগানের আম পরিপক্ক হবে না বলে সেগুলোকে কৃত্রিমভাবে পাকানো হতে পারে। এই অাশংকা থেকে এ পরামর্শ দিয়েছেন র্যাবের নির্বাহী হাকিম সরোয়ার আলম।
রোজা শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ফলের আড়তে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার মণ আমের পাশাপাশি প্রায় ৪০ মণ পোকা ধরা খেজুরও ধ্বংস করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় এমন পরামর্শ দেন সরোয়ার আলম।
সাতক্ষীরা এলাকার আম ২২মে এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ৫ জুনের আগে বাজারে আনার বিষয়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্মকর্তারা।
রাজশাহী থেকে ফজলী, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, হিমসাগরসহ বিভিন্ন প্রজাতির আম এবং সাতক্ষীরা থেকে ল্যাংড়া ও হিমসাগর আম দেশের বিভিন্ন বাজারে যায়।
ওই সব অঞ্চলের বাগানের আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই রাজধানীর বাজারে বিভিন্ন দোকানে পাকা আম দেখা যাচ্ছে, যা হওয়ার কথা নয়।
হলুদ হয়ে গেছে আম, অথচ ভেতরে আঁটি এখনও কাঁচা হলুদ হয়ে গেছে আম, অথচ ভেতরে আঁটি এখনও কাঁচা
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার যাত্রাবাড়ীর ফলের আড়তে অভিযানে যায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত, এর সহায়তায় ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও বিএসটিআই।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চালানো এই অভিযানে রাসায়নিক মিশিয়ে আম পাকানোয় নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। জব্দ করার পর বুলডোজার দিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয় প্রায় ১ হাজার মন আম।
র্যাবের হাকিম সারোয়ার বলেন, “বাগান থেকে অপরিপক্ক আম সংগ্রহ করে আড়তে এনে রাসায়নিক দিয়ে এগুলো পাকানো হয়।
“এসব আমে ক্ষতিকারক ইথোফেন, কার্বাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান স্প্রে করার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে হলুদবর্ণ ধারণ করে। এরপর তা বাজারে ছাড়া হয়। এগুলো খেলে ক্যান্সারসহ নানা ধরনের রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
আড়তের একটি গুদামে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা নষ্ট ও পচা খেজুর পাওয়ায় প্রায় ৪০ মণ খেজুরও ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে জানান হাকিম সারোয়ার।
আইন অমান্য করায় আড়তের আশা বাণিজ্যালয়ের লুৎফর রহমান ও জাকির হোসেনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া মোস্তফা এন্টারপ্রাইজের মোস্তফা শেখ, সাতক্ষীরা বাণিজ্যালয়ের ইয়াসিনকে ছয় মাস করে, এস আলম বাণিজ্যালয়ের মিঠুন সাহাকে দুই মাসের, অমিউর ট্রেডার্সের রনজিৎ রাজবংশীকে তিন মাস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের শহিদুলকে দুই মাস এবং নামবিহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের মেহেদী হাসান ও রেজাউলকে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।