সিলেট ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২২ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নগরীর দক্ষিণ সুরমার আবাসিক হোটেল কাশানাতে দীর্ঘদিন থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। এই হোটেল ছাড়াও আরো কয়েকটি হোটেলে অনুরূপ অপকর্ম চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
দক্ষিণ সুরমার যুব সমাজ এসব অসামাজিকতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জানানো হলে পুলিশ মাঝে মধ্যে তৎপর হয়ে উঠে। তখন অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশি তৎপরতা থামলেই আবার শুরু হয় এই অপকর্ম। অসামাজিক কার্যকলাপের নেপথ্যে রয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার গভীর রাতে হোটেল আকাশে (কাশানা) অভিযান চালিয়ে পুলিশ এক পতিতা ও এক খদ্দেরকে আটক করেছে পুলিশ। দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ফজল জানান, যেসব আবাসিক হোটেল গুলোতে দেহ ব্যবসা চলবে সেগুলোতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের একটি দল দক্ষিণ সুরমা বঙ্গবীর রোডে হোটেল আকাশে (কাশানা) অভিযান চালিয়ে যাদের আটক করে তারা হচ্ছে, খদ্দের বিয়ানীবাজার থানার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মো. সোহেল আহমদ ও পতিতা সুনামগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এলাকার আবদুল হক শিকদারের মেয়ে সামিয়া আক্তার। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন পালিয়ে যায়।
হোটেল মালিক জামায়াত নেতা বাদল তেতলী ইউনিয়নের বলদী গ্রামের মৃত সোনাহর আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ফজল আরো জানান, বঙ্গবীর রোডের আবাসিক হোটেল আকাশে (কাশানা) দেহ ব্যবসার গোপন সংবাদ পেয়ে রাতে হোটেলটিতে অভিযান চালানো হয়।
এসময় সেখান থেকে এক খদ্দের ও পতিতাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার সকালে আটককৃতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd