সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০১৮
আজিজুর রহমান : তৃতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে জগন্ননাথপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের প্রাচীন গ্রাম শক্তিয়ার গাঁও এর গ্রামবাসী সিলেট বিভাগের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক কে সংবর্ধনা দেন এবং গ্রামবাসী তাঁরকাছে দাবির মাধ্যমে প্রশ্নকরেন, পার্শ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলার ধনী গ্রাম গুলোতে বিদ্যুতের আলোর জ্বলকানি আমাদের জীবদ্দশায় কী দেখতে পাবনা ? আমাদের গ্রামে পাকা রাস্তা দিয়ে হাঁটার স্বপ্ন কী পূরণ হবেনা? শক্তিয়ার গাঁও – ঘিপুড়া গ্রাম সংলগ্ন ডাউকা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করে বর্ষায় আমাদের অবর্ণনীয় কষ্ট কী দূর হবেনা ? এছাড়া গ্রামবাসী শক্তিয়ার গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের দাবি ও করেছিলেন। সেদিন গ্রামবাসীর দাবীর সাথে সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক একাত্মতা পোষণ করে আবেগপ্রবণহয়ে তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন , আমি রাজনীতি করি সাধারণ,খেটে খাওয়া মানুষের জন্য। ডাউকা নদীর অপারে (জগন্নাথপুরের) ধনী গ্রামের বিদ্যুতের আলো শক্তিয়ার গাঁও গ্রামে জ্বালানোর সকল দায়িত্ব আমি নিলাম। আপনাদের পাকারাস্তার স্বপ্ন পূরন করবো, শক্তিয়ার গাঁও – ঘিপুড়া পয়েন্টে ডাউকা নদীতে সেতু নির্মানের স্বপ্ন পূরণও পূরন হবে এবং শক্তিয়ার গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের দাবী ও আমি পর্যায়ক্রমে পূরণ করব ইনশা আল্লাহ। এইগ্রামের মুরব্বিরা আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই যে ভাবে সহায়তা করেছেন তাঁদের ঋণ আমি শোধ করবোই। আমিকথা দিলে কথা রক্ষা করি এটা আপনাদের সবার জানা। আমি না পারলে ‘হবে হবে বলে’ মানুষদের ধোকা দেওয়ার রাজনীতি করিনা।
চারগোষ্ঠীর শক্তিয়ার গাঁও গ্রামের মানিক মিয়া,আবলুছ মিয়া মেম্বার, সৌদি প্রবাসী লিলুমিয়া কাছাই মিয়া,মুক্তারমিয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিকের বক্তব্যের স্মৃতিচারণ করে জানান, ইতিমধ্যে জননেতা মুুহিবুর রহমান মানিক আমাদের গ্রামে ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরন করেছেন। আর এক কিলোমিটার রাস্তার পাকা করনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। আমাদের গ্রামে ৯৬ টি বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে এবং অচিরেই তিনি তা উদ্বোধন করবেন। ডাউকা নদীতে ৯০ লক্ষ টাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এবং আমরা আশাবাদী ব্রিজের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার ব্যাপারে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
ভাতগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন মাস্টার জানান, শুধু শক্তিয়ার গাঁও গ্রামের রাস্তা ও নদী ভাঙন রোদে ২০ লক্ষটাকার মাটি কাটার কাজ হয়েছে এবং প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দিতে এমপি মহোদয় অত্যন্ত আন্তরিক। এছাড়া শক্তিয়ার গাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ও এমপি মহোদয় একটি নতুন ভবন বরাদ্দ করেছেন এবং নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু হবে।
সুনামগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক পীর মোহাম্মদ আলী মিলন বলেন, শক্তিয়ার গাঁও গ্রামে পল্লীবিদ্যুতের কাজ চলছে,দ্রুত তা শেষহবে এবং মাননীয় সংসদ সদস্য বিদ্যুৎ সংযোগ এর শুভ উদ্বোধন করবেন।
জগন্নাথপুর শাহজালাল মহাবিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ও লেখক মো. আব্দুল মতিন বলেন, শক্তিয়ার গাঁও গ্রামবাসীর দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আমি অতিথি ছিলাম এবং জননেতা মুহিবুর রহমান মানিক এমপি মহোদয় গ্রামবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি তিনি পূরন করেছেন এবং যে কাজ গুলো চলমান আছে সে গুলোও তিনি যথা সময়ে সম্পন্ন করে ফেলবেন।এমপি মহোদয় কথা দিলে সেটা তিনি যত সমস্যাই হোক রক্ষা করেন। তিনি আরো বলেন,শাহজালাল মহাবিদ্যালয়ে ছাতক উপজেলার হায়দরপুর উচ্চবিদ্যালয়,হাজী জামাল উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করতে অাসলে নদী পারাপারে দূর্ভোগের কথা এবং ছাতক- জগন্নাথপুরের মানুষের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ রক্ষা স্বার্থে শ্রীপতিপুর – যোগল নগর পয়েন্টে ডাউকা নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবী করেছিলাম উনার কাছে এবং তাঁর প্রতিশ্রুত বিশাল ব্রিজের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে পুরো সম্পন্ন হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd