সিলেট ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, মে ৪, ২০১৮
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: প্রাকৃতিক কন্যা খ্যাত সিলেটের পর্যটন নগরীর অন্যতম স্থান জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টের সৌন্দর্য্য যা ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে। সে স্থানটি বিনষ্ট করে যাচ্ছে পাথর খেকো খ্যাত এক শ্রেণীর অর্থ লোভী চক্র। পাথর লোট করতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে আটক হয় ১২টি নৌকা, বিজিবির ভূমিকা রহস্যজনক।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশ পর্যটন নগরী সিলেটের অন্যতম স্থান জাফলং। আর প্রধান আর্কষণ হচ্ছে পাথর ও সচ্ছপানি এবং পাহাড়রাজী। যার ফলে সারা বৎসর এখানে ভ্রমন পিপাসুরা ভিড় লেগেই থাকে। জাফলং ভ্রমন না করলে ভ্রমনের আনন্দটাই পরিপূর্ণতা লাভ করে না পর্যটক প্রেমীদের। উল্লেখযোগ্য স্থান হল জিরো পয়েন্ট। কিন্তু এক শ্রেণীর পাথর খেকো চক্র স্থানীয় সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যদের সহযোগিতায় দিন-রাত সমান তালে জিরো পয়েন্ট ১২৭৩নং মেইল পিলারের ৭এস পিলার সংলগ্ন থেকে নৌকা প্রতি ১৫শত টাকার বিনিময়ে পাথর লোট করার সুযোগ করে দিচ্ছে চক্রটি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যেরে ডাউকী নদীর বুক ছিরে বয়ে আসা পানির সাথে নূনিপাথরগুলো প্রকৃতিক ভাবে সাজিয়ে রয়েছে পিয়াইন নদীর উৎস্য মূখে। যাহা ভ্রমণ পিপাসুদের আনন্দের প্রধান উৎস। সেই উৎস স্থল হতে পাথর অবৈধ পন্থায় প্রতিনিয়ত পাথর উত্তোলনের ফলে পর্যটকরা মুখ ফিরে নিচ্ছে সিলেটের অন্যতম পর্যটন স্পর্ট জাফলং জিরো পয়েন্ট থেকে।
এদিকে, বুধবার (০২ মে) দিবাগত রাত ১১টায় পাথর লোটকারী চক্রের অন্যতম সদস্য হানিফ, মোস্তফা, সাজুল, সহিদ এবং নুরু মিয়ার নেতৃত্বে ২শতাধিক বারকী নৌকা ভারতীয় সীমান্তবর্তী ডাউকী ও বাংলাদেশের পিয়াইন নদীর মিলন স্থলে জিরো পয়েন্টে পাথর লোট করতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ হাতে ১২টি নৌকা আটক হয়। এসময় প্রাণ নিয়ে সাধারণ শ্রমিকরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা হলেও পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত নৌকা রক্ষা করতে পারেনি। এসময় ভারতীয় বাহিনী নৌকা ফেরত না দিয়ে ৭টি নৌকা ভেঙ্গে ফেলে পিয়াইন নদীতে ভাসিয়ে দেয় এবং ৫টি নৌকা আটক করে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা পাথর কোয়ারী হতে পাথর উত্তোলন করে আসছি স্বাভাবিক নিয়মে। কিন্তু একশ্রেনীর পাথর খেকোরা অবৈধভাবে সুযোগ বুঝে জিরো পয়েন্ট থেকে পাথর সংগ্রহ করার কারনে পাথর ব্যবসায়ীদের সম্মান ক্ষুন্ন হচ্ছে। আমরা প্রকৃতিক সৌন্দর্য্য রক্ষায় সংশ্লিষ্ট আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
এ বিষয়ে জানতে সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার জয়নালের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ক্যাম্পে না থাকায় কথা বলা যায়নি।
তবে, ক্যাম্পের বর্তমান হাবিলাদার আলমগীর জানান, জিরো পয়েন্ট হতে ১৫০গজ দূরবর্তী স্থান হতে দরিদ্র শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন। নৌকা আটকের বিষয়টি তার জানানেই বলে জানান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd