সিলেট [english_date] | [bangla_date] | [hijri_date]
প্রকাশিত: 4:25 PM, April 30, 2018
Sharing is caring!
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথের পনাউল্লাহ বাজারে দোকান কোটা নিয়ে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আনোয়ার হোসেন। তিনি বিশ্বনাথের লালটেক গ্রামের মছকন্দর আলীর পুত্র। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নিহত আনোয়ার হোসেন রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন। স্থানীয় মেম্বার আলতাফ আলীর অনুরোধে তিনি পনাউল্লাহ বাজারে দোকানে কাজ করতে যান। উক্ত দোকানকোটা নিয়ে মেম্বার আলতাফ আলীর সাথে স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফ আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন দোকান কোটা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তখন আনোয়ার হোসেন দোকানে কাজ করছিলেন। আশরাফ আলীর লোকজন দোকানে ঢুকে আনোয়ার হোসেনকে পেয়ে তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে আনোয়ার হোসেনের ভাই আলাউদ্দিন ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উক্ত ঘটনায় গতকাল নিহতের ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৯, তারিখ: ২৯/৪/২০১৮ ইং। ধারা: ৩০২/৩৪ দ:বি:। আসামীরা সবাই বিশ্বনাথের লালটেক গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন- মৃত ছিফাত উল্লাহর পুত্র আশরাফ আলী আরশ (৪৫), লিলু মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (২৪), আশরাফ আলী আরশের পুত্র আব্দুল জব্বার (২৫), মহরম আলীর পুত্র ইউসুফ আলী (২৫), ছিদ্দেক আলীর পুত্র মিজান (২০), রফিক মিয়ার পুত্র কবির মিয়া (২২), রহিম আলীর পুত্র হবিব মিয়া (২১), শহিদ আলীর পুত্র সাফিয়ান আহমদ (২৮), আফতাব আলীর পুত্র আনছার আলী (৩২) সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত আনোয়ার হোসেন ভাই আলাউদ্দিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
………………………..
Design and developed by best-bd