সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: সুনামগঞ্জের জেলা পরিষদের সদস্যের সাথে বাসায় কৌশলে ডেকে নিয়ে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৫ এপ্রিল) সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল শহীদ মুহিত বাদী হয়ে একটি মামলা (নং- ৫৯/১৯৮, তাং- ২৫.০৪.২০১৮) দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার নগরীর উত্তর বাগবাড়ির ৩৫৬ নং বাসা থেকে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতরা হচ্ছে শ্রীমঙ্গল থানার কলেজ রোডের নিপু বিহারী ভট্টাচার্যের মেয়ে তৃষা ভট্টাচার্য (২৪) ও ছেলে বাধন ভট্টাচার্য (১৮)। মামলার অপর এজাহারভুক্ত আসামীরা হলেন, আজিম, মুন্না ও মীম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল শহীদ মুহিতকে (পিতা মৃত হাজী আলতাব আলী, গ্রাম গোয়াশপুর, থানা ছাতক, জেলা সুনামগঞ্জ) পরিচয়সূত্রে মামলার ২নং আসামী বাধন ভট্টাচার্য তাঁর বাসাতে ডেকে নেয়। গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টায় মুহিত তাদের বাসায় যান। সেখানে গিয়ে মুহিত মামলার প্রধান আসামী তৃষা ভট্টাচার্য সহ অভিযুক্ত সকলকে দেখতে পান। বাসায় যাওয়া মাত্রই তৃষা, বাধন, আজিম, মুন্না ও মীম মিলে মুহিতকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তাকে কিল ঘুষি মেরে তার সাথে মানিব্যাগ থাকা ১৭ হাজার ৩ শত টাকা ও জরুরী কাগজপত্র নিয়ে যায়। এসময় তারা মুহিতের শার্ট, প্যান্ট খুলে বিবশ্র অবস্থায় তৃষা ভট্টাচার্যের আদেশে স্থিরচিত্র ও ভিডিও ধারণ করে। আইনে আশ্রয় নিলে কিংবা এ ঘটনার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিলে বিবশ্র ভিডিও ও ছবি ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রকাশ করে তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করবে বলে হত্যার ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বুধবার সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল শহীদ মুহিত এ মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার সুত্রধরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রোকেয়া খানম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd