সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ইসরাত আমার রূপা। আর এ ঘটনার পিছনে প্যানেল মেয়র ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কেএম শহীদুল্লাহকে দায়ী করছেন রূপার ঘনিষ্ঠজনরা। রূপার পারিবারিক সূত্র জানায়, রূপাকে বিয়ে করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে রূপা ও তার পরিবারকে হয়রানি করে আসছে প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ ওরফে লেটকু শহীদ।
রূপার ভাইকে মাদক মামলায় কারাগারে পাঠানো এবং রূপাকে অন্য কোথাও বিয়ে দিলে তাকে বিধবা করাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছিল র্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক শহীদুল্লাহ। নানা সময় রূপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে তাকে একা করে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন সময়।
উদ্দেশ্য ছিল, কোন উপায় না পেয়ে লেটকুর কাছে নিজেকে সোপে দিবে রূপা। তবে কোন কিছুতেই কাজ না হওয়ায় রূপার বড় মামা হোমিও চিকিৎসক হুমায়ুন কবির ও তার মেয়ে জামাই রুবেলকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কিনে নেয় শহীদ। বিভিন্ন সময় বড় মামার পরিবারের সদস্যদের শহীদের মালিকাধীন রেস্তোরা দি কিচেন-এ আমন্ত্রন করে খাওয়ানো হয়। দেয়া হয় দামি দামি উপহার। নগদ অর্থ আর দাবি উপহার পেয়ে শহীদের সাথে রূপাকে বিয়ে দেয়ার জন্য রূপার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করেন মামা হুমায়ুন কবির। কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে শহীদের সাথে মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয় রূপার পরিবার।
২ বৈশাখ এ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৬০ বছরের বৃদ্ধ, পিতার বয়সী শহীদের সাথে বিয়ের বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না কাউন্সিলর রূপা। এছাড়া পরিবার তার পাশে না থাকায় পুরোপুরি ভেঙ্গে পরে সে। তাই সে নিজেকে গৃহবন্দি করে নেয়। বন্ধ করে দেয় খাওয়া দাওয়া। এদিকে, রূপা বিয়েতে রাজি নয় শুনে ১ বৈশাখের আগের দিন রাতে ব্রাউন কম্পাউন্ড রোডের বাসায় দিয়ে রূপাকে হুমকি দেয় শহীদুল্লাহ। এঘটনার পরপরই ওই রাতেই বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় কাউন্সিলর রূপা। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পর দিন ১ বৈশাখ সকালে তাকে কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে মিলে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন শহীদুল্লাহ। এদিকে অনুসন্ধানে নেমে প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ’র নারী কেলেঙ্কারীর নানা তথ্য পাওয়া গেছে।
পারিবারিকভাবে দা্বী করেছে, ইসরাত আমান রূপার মা মোরশেদা বেগম কাজল ছিলেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কমিশনার। ওই সময় বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে অন্যান্য কমিশনারদের মত শহীদেরও রূপাদের বাসায় আসা যাওয়া ছিল। তখন বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন রূপা। ওই সময় থেকেই রূপার উপর কু-দৃষ্টি পরে কেএম শহীদুল্লাহ। তখন থেকেই যে কোন মূল্যে রূপাকে হাছিল করা অবৈধ বাসনা বাসা বাধে শহীদুল্লাহ’র মনে।
প্যানেল মেয়র কেএম শহীদুল্লাহ’র কাছ থেকে ২ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপা; বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এমন সংবাদ প্রচার হচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। তবে বাস্তবতা বলছে উল্টো কথা। সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের নির্বাচনের পর প্রথম এক বছরের প্রায় ৮০ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাছ চাপা টেন্ডারের মাধ্যমে বাগিয়ে নেয় লেটকু শহীদ। এছাড়া রূপাকে হাতিয়ার বানিয়ে লঞ্চঘাট থেকে রূপাতলী পর্যন্ত বিলবোর্ডগুলো নিজের করে নেয় সে। বিলবোর্ডগুলো শহীদুল্লাহ’র পিয়ন মামুনের নামে। এসব কাজের বিপরীতে একটি মোটা অঙ্কের টাকা কাউন্সিলর রূপাকে দেয়ার কথা ছিল। যার পরিমান ২ কোটি টাকা। রূপা তার প্রাপ্য টাকা চাইতে গেলে কেএম শহীদুল্লাহ তাকে অবৈধ সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাকে সে রাজি হয়নি। পরে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তাও প্রত্যাখ্যান করে রূপা। এরপর থেকেই রূপার বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপপ্রচার চালায় প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ।
- নজরবন্দী রূপা
নারীলোভী লম্পট কেএম শহীদুল্লাহ’র বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়ার পর থেকেই কার্যত নজরবন্দী হয়ে পরে কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপা। তার বসত বাড়ির আশেপাশে অবস্থা নেয় শহীদুল্লাহ’র ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী। রূপা যেখানেই যেত সেখানেই তাকে অনুসরন করে সন্ত্রাসীরা। এমনকি রূপা ঢাকায় গেলে ঢাকা মেট্রো ২৫-৫৫৬৬ নম্বরের একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকার রূপাকে ফলো করে। ওই গাড়িতে অনেক সময় প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহকেও দেখা গেছে। রূপা তার নিরাপত্তাহীনতার কথা একাধিকবার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েছে।
বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় রূপাকে ধর্ষন করতে চেয়েছিল প্যানেল মেয়র লম্পট কেএম শহীদুল্লাহ। এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২ বছর আগে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলদের নিয়ে হয়ে যাওয়া সুন্দরবনের পিকনিকে। পরিকল্পনা ছিল রাত গভীর হলে রূপাকে ধর্ষনের পর তাকে ফেলে দেয়া হবে নদীতে। কিন্তু কাউন্সিলর রেজভী মারা যাওয়ায় পরিকল্পনার বাস্তব রূপ নিতে পারেনি শহীদুল্লাহ। অভিযোগ আছে রেজভীর মৃত্যুর পিছনেও শহীদুল্লাহ’র হাত রয়েছে। যেমনটা ছিল সাবেক কমিশনার মেহেদীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পিছনে। জানা গেছে, সুন্দরবনের পিকনিকে কাউন্সিলর রেজভীকে অতিরিক্ত মদ পান করতে উৎসাহ যোগায় শহীদুল্লাহ। এক পর্যায়ে রেজভীকে অনেকটা জোর করে মদ খাওয়ায় সে। এরফলে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় রেজভী।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সিডিসির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইসরাত আমান রূপা। সিডিসির কাজ করতে গিয়ে জিয়া সড়ক এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী রাজার স্ত্রী জেসমিনের সাথে পরিচয় হয় রূপার। তবে জেসমিনের সাথে অনেক আগে থেকেই গোপন সম্পর্ক ছিল শহীদুল্লাহ’র সাথে। কিন্তু এ বিষয়টি জানা ছিল না রূপার। এছাড়া রাজা যে মাদক ব্যবসায়ী তাও জানতো না সে। মান্না পাহাড়ি রাজার ঘনিষ্ঠ। সাপের বাক্স করে সে বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা সরবরাহ করে থাকে। একদিন প্যানেল মেয়রের নির্দেশে জেসমিন রূপাকে ফোন করে জানায়, মান্না পাহাড়ি নামে এক সাপুড়ে তার স্বামী রাজাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। পাশাপাশি সে রূপাকে অনুরোধ করে মান্না পাহাড়িকে ধমকানোর জন্য। জেসমিনের অনুরোধে শহীদুল্লাহ’র সাজানো ফাদে পাড়া দেয় রূপ। মান্নাকে হুমকি দেয় মোবাইল ফোনে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হুমকির কথাগুলো মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে মান্না। পরে শহীদুল্লাহর নির্দেশে কোতয়ালী থানায় রূপার বিরুদ্ধে সাধারন ডায়েরী দায়ের করে মান্না পাহাড়ি।
কাউন্সিলর ইসরাত আমান রূপাকে একা করে রাখাই ছিল প্যানেল মেয়র কেএম শহীদুল্লাহ’র প্রধান লক্ষ্য। তাই সিটি কর্পোরেশনের কোন পুরুষ কাউন্সিলর রূপার সাথে কথা বললে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বদনাম রটাতেন শহীদুল্লাহ। তাই মান সম্মানের ভয়ে কেউ রূপার সাথে কথা বলতেন না। এছাড়া রূপার বন্ধুদের নানাভাবে হুমকি দিতেন প্যানেল মেয়র। যাতে রূপা একা হয়ে যায় এবং শহীদুল্লাহ’র কু-প্রস্তাব মেনে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু এরই মধ্যে রূপার বিদেশ যাওয়ার খবরে আকাশ ভেঙ্গে পরে লম্পট শহীদুল্লাহ’র মাথায়। তাই রূপার বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে হামলার নাটক সাজায় শহীদুল্লাহ নিজেই। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, কাউন্সিলর রূপার বড় বোন আমেরিকা প্রবাসী। বোন আর বোনের ছেলে-মেয়েকে দেখতে গত বছরের শেষের দিকে তার আমেরিকা যাওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগার করছিলেন তিনি। বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করেন কাউন্সিলর রূপা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহকে জানিয়ে দেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা আসমা বেগম। এখবর শোনার পরপরই চিন্তায় পরে যায় শহীদুল্লাহ। তার ধারনা রূপা আমেরিকা গেলে, সেখানে কোন ছেলের সাথে তার বিয়ে হয়ে যেতে পারে। তাই রূপার বিদেশ যাওয়া ঠেকাতে নগরীর পুলিশ লাইন রোডে অবস্থিত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩ তলায় বৈঠক বসায় শহীদুল্লাহ। বৈঠকে অংশ নেয় চতুর সাপুড়ে মান্না পাহাড়ি, তার স্ত্রী কাজল বেগম ও মাদক ব্যবসায়ী রাজা। রাজা মান্নাকে কুপিয়ে জখম করবে এই প্রস্তাব দেন শহীদুল্লাহ। তবে এই প্রস্তাবে শুরুতে বেকে বসে মান্না পাহাড়ি। কিন্তু এ কাজের জন্য ১০ লাখ টাকা দেয়ার কথা বললে রাজি হয়ে যায় মান্না। ওই রাতেই তাদের ৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেয় শহীদুল্লাহ। পরিকল্পনা অনুযায়ী পর দিন সন্ধ্যায় মান্নার উপর হামলা চালায় রাজা। হামলার পর রাজা নিরাপদেই পালিয়ে যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মামলা করা হয় রাজা সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। হুকুমের আসামী করা হয় ইসরাত আমান রূপাকে। শহীদুল্লাহ’র টাকার কাছে হেরে যায় রূপা।
- স্ত্রীকে দিয়ে স্বার্থ হাসিল শহীদুল্লাহ’র প্রধান ব্যবসা
মাত্র ১০ বছর আগেও আজকের মত অর্থ সম্পদের মালিক ছিলেন না প্যানেল মেয়র কেএম শহীদুল্লাহ ওরফে লেটকু শহীদ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য মালির ছেলে শহীদ নিজ স্ত্রীকে ব্যবহার করে হয়েছে কোটিপতি। স্থানীয় সূত্রে জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক পিয়নের মেয়েকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতেই ঘর জামাই থাকতে শুরু করে লেটকু শহীদ। এক পর্যায়ে শুরু করে ছোট ছোট ঠিকাদারি কাজ। কিন্তু কাজে অনিয়ম দুর্নীতির কারনে বিল আটকে দেয় দপ্তরের বড় বাবুরা। কাজের বিল ছাড় করতে নিজের স্ত্রীকে ব্যবহার করে শহীদুল্লাহ। তাকে পাঠিয়ে দিত বড় বাবুদের কাছে। বড় বাবুরাও খুশি হয়ে বিল ছেড়ে দিত। এরপর থেকে ঠিকাদারি কাজ বাগিয়ে নেয়া কিংবা বিলের টাকা উত্তোলন; সব জায়গাই নিজের স্ত্রীকে পাঠাতেন শহীদুল্লাহ। এমনকি রাজনৈতিক স্বার্থ হাছিল করতেও স্ত্রীকে ব্যবহার করতো জঘন্য চরিত্রের এই প্যানেল মেয়র। স্ত্রী এর প্রতিবাদ করলে তার উপর চালানো হত অমানসিক নির্যাতন। কিন্তু স্ত্রী শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে যাওয়ায় রূপাকে দিয়ে ওই কাজ চালিয়ে নিতে চায় সে। তাই যে কোন মূল্যে রূপাকে হাছিল করতে উঠে পড়ে লেগেছে শহীদুল্লাহ।
নারীলোভী প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ’র কু-কর্মের কথা সবার জানা। গভীর রাতে নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বেড়ায় সে। সুযোগ বুঝে হানা দেয় বিভিন্ন বসতঘরে। তার লালসা থেকে রেহাই পায়নি শিশু কন্যা থেকে বৃদ্ধ নারী পর্যন্ত। বর্তমানে এক মিস্ত্রীর স্ত্রীর সাথে রয়েছে তার অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক। এঘটনার প্রতিবাদ করায় ওই মিস্ত্রীকে প্রান নাশে হুমকি দেয় শহীদুল্লাহ। তাই জীবন রক্ষায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ওই মিস্ত্রী। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের একটি সূত্র জানায়, যেখানে নারী সেখানেই চরিত্রহীন শহীদুল্লাহ’র পদচারনা। সে প্রতিদিন মদ পান করে, এক এক রাতে এক এক নারীর সাথে রাত কাটায়। অনেকই তাকে বরিশালের বাইরে বিভিন্ন সময় একাধিক নারীর সাথে অন্তঃরঙ্গ অবস্থায় দেখেছে। নাম প্রকাশ না করার সর্তে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা জানান, এক নারী কাউন্সিলর প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ’র বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ওই সময় তার সাথে শহীদুল্লাহ’র অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। শহীদুল্লাহ’র আর্শিবাদে একাধিকবার গর্ভবতীয় হয়েছিল সে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, প্যানেল মেয়র শহীদুল্লাহ ওরফে লেটকু শহীদ সবচেয়ে বেশি রঙ্গলীলায় লিপ্ত ছিল নারী অপর এক নারী কাউন্সিলরের সাথে। বিভিন্ন সময় তাকে নিয়ে বরিশালের বাইরে ঘুরতে যেতেন শহীদুল্লাহ। সিটি কর্পোরেশনের মালিকাধীন রাজধানীর সেগুনবাগিচার ফ্লাটে তাদের অনেকটা উলঙ্গ অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরন। তাদের ভালবাসার ফল বিথাও যায়নি। ওই নারী কাউন্সিলরের ছেলেটি শহীদুল্লাহ’র ভালবাসার ফসল বলে লোক মুখে গুঞ্জন রয়েছে। এমনকি ওই নারী কাউন্সিলরের বোনের মেয়ের সাথেও রয়েছে শহীদুল্লাহ’র অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক। নগরীর কাউনিয়া এলাকা বাসিন্দা ওই মেয়ে বর্তমানে পড়াশুনা করছে ঢাকার একটি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে। তার পড়শুনার সম্পর্ক ব্যয় বহন করছে শহীদুল্লাহ। এজন্য তার সাথে রাত কাটাতে হয়। ওই মেয়ে শহীদুল্লাহ’র একমাত্র মেয়ে সামান্তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিল। কিন্তু পিতার সাথে বান্ধবীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি ঢাকায় বসবাসরত সামান্তা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd