সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গেল বছর আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে না খেয়ে খেয়ে দিনগুলো পাড় করেছি। তারপরও আবার ঋণ করে বোরো ফসল ফলিয়েছি। আশা করছি আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে থাকালে এ বছর ঘরে ধান তুলতে পারব।
কান্না জড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথা বলছিলেন বিশ্বম্ভরপুরের ছাতারা গ্রামের কৃষাণী জায়েদা খাতুন। এসময় চোখের পানি মুছে মুছে আবেগাপ্লুত জায়েদা বাংলানিউজকে বলেন, ধান না পেয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বড় কষ্টে দিন কেটেছে আমাদের। এবার ধান তুলতে পারলে বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের পর যা থাকবে তা দিয়ে সংসার খরচ করব। কিনব কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনসপত্রও।
একই গ্রামের আরেক কৃষাণী রহিমা খাতুন বলেন, আমার চার কেদার জমি আছে। গেল বছর ক্ষতি হলেও সেখানে এবারো বোরো ধান লাগিয়েছি। আশা করছি এ বছর প্রায় ৬০ মণ ধান পাব। সেই ধান দিয়ে আমার পরিবারের সারা বছরের চাল হয়ে যাবে। আল্লাহর কাছে এই দোয়া করি, যেনো কোনো রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়। ধান গোলায় তুলতে পারলে এবার সুখে দিন কাটাতে পারব বলে আশা করছি আমরা।
তিনি আরো বলেন, ধান কাটার জন্য ইতোমধ্যে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ধান শুকানোর জায়গা তৈরিসহ যাবতীয় কৃষি সরঞ্জামাদি কিনে আনা হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটা শুরু হবে।
জানা গেছে, এখন শুধু ব্রি-২৮ জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। ২৯ জাতের ধান কাটতে আরো সময় লাগবে। তাছাড়া এবার যে ফলন হয়েছে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়লে সারা বছরের চাল ও সংসার খরচের টাকা হয়ে যাবে বলে ধারণা অনেক কৃষকের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট দুই লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে এবার। এর মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৩২ হাজার ৮৫০ হেক্টর
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd