ইউএনও ব্যবস্থা নিতে বললেও পুলিশ ঠেকাল না বিয়ে!

প্রকাশিত: ১১:০২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০১৮

ইউএনও ব্যবস্থা নিতে বললেও পুলিশ ঠেকাল না বিয়ে!

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে স্ত্রী অভিযোগ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। কিন্তু ইউএনও থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এসব তথ্য জানিয়েছেন নির্যাতিত গৃহবধূ।

শ্বশুরালয়ের নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গৃহবধূ তানজিলা আক্তার শত চেষ্টা করেও স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকাতে পারেননি বলে নির্যাতিতা জানান।

অভিযুক্ত স্বামী শেখ সিদ্দিক (৩০) গাজীরটেক ইউনিয়ননের চরঅযোধ্যা ঢালার পাড় গ্রামে বাসিন্দা।

সোমবার উপজেলার গাজীরটেক ইউনিয়নের ওই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিতা গৃহবধূ তানজিলা আক্তার জানান, তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠান ও শ্বশুরালয়ের বর্বর নির্যাতনের কথা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন থানায়। পরের দিন সোমবার দ্বিতীয় বিয়ে ঠেকানোর জন্য একই অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিলে ইউএনও গ্রহণ করে থানার ওসির কাছে ফরোয়ার্ড করে দেন।

কিন্ত গৃহবধূ তানজিলা আক্তারের শ্বশুরালয়ে সোমবার দিনভর পার্শ্ববর্তী চরঅযোধ্যা ছিটা ডাঙ্গী গ্রামের মৃত করিম মোল্যার মেয়ে লতা বেগমের (২২) সঙ্গে স্বামী শেখ সিদ্দিকের দ্বিতীয় বিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

গৃহবধূ তানজিলা আক্তারের শাশুড়িকে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ আমার পুলা তিন মাস আগে তানজিলাকে তালাক দিয়া দিছে, এখন যা করা যায় আমরা কোর্টেই জবাব দেব। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানার ওসি রাম প্রসাদ ভক্ত জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি এবং সন্ধ্যায় ছেলের বাড়িতে তদন্তে যাব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার বলেন, গৃহবধূ তানজিলা আক্তারের নির্যাতন ও স্বামীর দ্বিতীয বিয়ে বন্ধের জন্য আমার কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রটি ফরোয়ার্ড করে থানায় পাঠিয়েছি এবং ওসির সঙ্গে আমি নিজে কথা বলেছি।

তিনি বলেন, ওসি সাহেব দ্বিতীয় বিয়ে বন্ধের ব্যবস্থা নেবেন বলেও আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..