সিলেট ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে ইয়াবা টেবলেট দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাবিব সরোয়ার আজাদ।
পারিবারিক ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ এপ্রিল) রাতে বাদাঘাট বাজারের মেইন রোডে মানিকের ফ্লেক্সিলোডের দোকান থেকে স্থানীয় সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আর্শিবাদপুষ্ট তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগ আহব্বায়ক ও বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুক মিয়া তার সহযোগী পৈলনপুর গ্রামের ফারুক মিয়া, হযরত আলী, ইকবাল হোসেনসহ ১০/১২জন ধরে নিয়ে গিয়ে মাসুক মিয়ার বাড়ীতে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে।
এসময় স্থানীয় জনতা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ অদৃশ্য ইশারায় তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করে। পরে মাসুক মিয়া সুকৌশলে উত্তর বড়দল ইউনিয়নের কাশতাল চরগাও রহিছ মিয়ার বাড়ীর বাঁশঝারের পিছনের রাস্তার পার্শে নিয়ে গিয়ে ইয়াবা দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এর আগে আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর ও বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান, এএসআই পিযোষ দাসকে মাসুক মিয়াসহ তার লোকজন ধরে নিয়ে গেছে বলে জানানো হলেও তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে আজাদকে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পে আটক করে রাখে।
পরে রাত ১২টায় তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নন্দন কান্তি ধর জানান, তাকে স্থানীয় লোকজন ইয়াবা টেবলেটসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন জানান, ‘স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী মাসুক জনসম্মুখে সাংবাদিক আজাদকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে তার বাড়িতে যান। মাসুক মিয়ার সাথে পূর্ব শত্রুতা থাকায় সাংবাদিক আজাদকে পরে পুলিশে দেয়া হয়।’
আজাদ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত নন বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব।
তিনি বলেন, ‘এ জাতীয় নেতিবাচক চর্চা এলাকার শান্তিশৃংখলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, হাবিব সরোয়ার আজাদ দীর্ঘদিন ধরে দৈনিক যুগান্তরসহ স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার আশির্বাদপুষ্টদেরসহ তাহিরপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও তাদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে সংবাদ পরিবেশন করে আসছিল।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনজার্চ নন্দন কান্তি ধর বলেছেন, তার সঙ্গে যেহেতু ইয়াবা পাওয়া গেছে মামলা নেয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd