সিলেট ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:২৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: সিলেট ওসমানী হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে চিকিৎসারত কৃষক বদরুল হক (৫০)। তাঁর দুটি পায়ে সুলফির আঘাত। এক পায়ের হাড় ফেটে গেছে। অন্য পায়ের মাংসে পচন ধরেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে ২২ দিন আগে আহত করেছিল। এ ঘটনায় একটি মামলা রুজু করা হলেও আজো আসামিরা থেকে গেছে অধরা। আহত বদরুল হক জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে।
হাসপাতালে গিয়ে জানা গেল, গত ১৬ মার্চ শুক্রবার সকালে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ ফখরুল ইসলাম গংরা কৃষক বদরুলের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এসময় বদরুল হকের পায়ে সুলফি দিয়ে ঘাঁই মারেন ফখরুল ইসলাম। বাকি আসামিরা মিলে তার পায়ে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। কৃষক বদরুল হককে ওই দিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুলফি ও রডের আঘাতে তার একটি পায়ের হাড্ডি ফেটে গেছে। সেখানে অস্ত্রোপচার করা হবে এক মাস পর। কিন্তু মাংসে পচন ধরায় ওই কৃষক বদরুল এখন পঙ্গু হওয়ার পথে। এদিকে এ ঘটনায় আহতের ভাই ময়নুল হক বাদি হয়ে ফখরুল ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা ( নং ১০ ( ২১/০৩/১৮) দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ আজো কোনো আসামি আটক করেনি।
হাসপাতালে কেঁদে কেঁদে কৃষক বদরুল হক বলেন,‘ নিজে পঙ্গু অইজিরাম। এই কষ্ট সহ্য করতাম পাররাম না। তার মাঝে আসামিরা প্রকাশ্যে আমার বাড়িতে যাইয়া পরিবাররে হুমকি দিচ্ছে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সম্রাজ মিয়া জানান, তিনি আসামি ধরার জন্য সোর্স নিয়োগ করেছেন। আসামিরা বাড়ি থেকে পালিয়েছে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাওলাদার বলেন,‘ আসামি ধরার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাদি যোগাযোগ করেনি, তাই আসামি ধরা সম্ভব হয়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd