সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বালাগঞ্জের তয়রুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার প্রধান আসামী আরিফ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। তবে অপর ধর্ষক রুমন দাশ এখনো অধরা। এমনকি যে মোবাইল ফোন দিয়ে ধষর্ণের ভিডিও ধারণ করা হয়েছিলো তা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ইতোমধ্যে গত ১৩ মার্চ তয়রুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপির অনুলিপি প্রেরণ করে তারা। ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে আসাও বন্ধ করে দিয়েছে ঐ স্কুল ছাত্রী।
বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জালাল উদ্দিন জানান, পুলিশের ব্যাপক অভিযানের কারণে ধর্ষক আরিফ নিরুপায় হয়ে (বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে রুমন দাশ এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতার ও মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ধষর্ণের ভিডিও উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গ, গত ১০ মার্চ সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় সিরিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার আশিক মিয়ার ছেলে আরিফ কৌশলে ওই ছাত্রীকে নবীনগর এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা উপেন্দ্র দাশের ছেলে রুমনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে আরিফ ও রুমন একাধিকবার ধর্ষণ ও ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে। ঘটনার বিষয়টি কাউকে প্রকাশ করলে ধারণকৃত ভিডিওটি অনলাইনে ছেড়ে দেয়ারও হুমকী দেয় তারা। ঘটনার দিন রাতে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দুই ধর্ষককে অভিযুক্ত করে বালাগঞ্জ একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পর থেকে উভয় আসামী পলাতক ছিলো। আরিফ বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও রুমন এখনো পলাতক রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd