মাত্র ৬৭৫ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করতে রাজি মিয়ানমার

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০১৮

মাত্র ৬৭৫ রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করতে রাজি মিয়ানমার

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মিয়ানমারের ইমিগ্রেশন ও পপুলেশন ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশ থেকে ৬৭৫ জন শরণার্থীকে ফেরত নিতে প্রস্ত্মুত আছে। ওই কর্মকর্তার নাম মিন্ট কায়িং এবং তিনি ওই দপ্তরের স্থায়ী সচিব।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম মিজিমায়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কায়িং নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশ থেকে ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা দেয়া হলেও তারা এর মধ্যে ৮০০ জনেরও মতো রোহিঙ্গার নাম অনুমোদন করেছেন।

Manual7 Ad Code

তিনি জানান, বিষয়টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশকেও জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
এ পর্যন্ত্ম যে ৮০০ জনের নাম মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অনুমোদন করেছেন কায়িংয়ের দাবি এরমধ্যে ৬৮৫ জন মিয়ানমারে বসবাস করতেন আর ১০ জনের মতো আছেন যারা সেখানকার সহিংসতায় অংশ নিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তালিকায় থাকা ১০ জন সন্ত্রাসীকে বাদ দিয়ে ৬৭৫ জনকে তারা গ্রহণ করবেন। ৮০০ জনের মধ্যে আর বাকি ১২০ জন বাংলাদেশে যাওয়ার আগে মিয়ানমারে বসবাস করতেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
এর আগে বাংলাদেশ মিয়ানমার আলোচনার পর বাংলাদেশের তরফ থেকে আট হাজার জনের একটি তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্ত্মান্ত্মর করা হয়েছিল।
এদিকে দুদেশের সরকারের উদ্যোগের পরও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বাস্ত্মবে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না বলে মন্ত্মব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব সলিল শেঠি বৃহস্পতিবার সকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি একথা বলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর এবং দুদেশের মন্ত্রী পর্যায়ের সফরের কথা উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু, বাস্ত্মবে কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।’
রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে গত বছরের ২৩ নভেম্বর সম্মতিপত্রে সই করে দুই দেশ।
বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির পক্ষে তার দপ্তরের মন্ত্রী কিয়া তিন্ত্ম সোয়ে এ বিষয়ে একটি সম্মতিপত্রে (অ্যারেঞ্জমেন্ট) সই করেন।
সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের মতো রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। আর গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরম্নর পর আরও সোয়া ছয় লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত্ম পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।
জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বলে আসছে। আর আন্ত্মর্জাতিক পর্যায়ে এই রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এশিয়ার এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বড় শরণার্থী সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করার কথা উলেস্নখ করে বলেন, এ পর্যন্ত্ম প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তার সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজর রাখছে।
মিয়ানমারেই রোহিঙ্গা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে মন্ত্মব্য করে সলিল শেঠি বলেন, রোহিঙ্গারা যেন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সে জন্য তাদের কাজ অব্যাহত রেখেছে।
‘মিয়ানমারে যা হয়েছে তা, রোহিঙ্গাদের বিরম্নদ্ধে অপরাধ।’
শেঠি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বজুড়ে জনমতের চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..