সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক :: মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গল সেন্ট মার্থাস স্কুলের ২ ছাত্রের দুই মাসের বেতন বাকি থাকায় ছাত্রদের টেস্ট পরীক্ষায় বাঁধা প্রদান করার অভিযোগে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার,মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন দুই ছাত্রের অভিবাবক। ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গল সাতগাওঁ টাওয়ারের বাসিন্দা মৃত আলকাছ আলীর ছেলে সাপ্তাহিক হলি সিলেট পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাংবাদিক এস এম জহুরুল ইসলাম এ অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন,তাঁর দুই পুত্র পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র এস এম তাওহিদ আল হাসাইন ও তাওফিক আল হোসাইনকে গত ৩ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় টেস্ট পরীক্ষার জন্য যথারীতি স্কুলের হলে প্রবেশ করতে গেলে তাদের বাঁধা প্রদান করা হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মিস মেরি মার্গেট রিবেরু ওই দুই ছাত্রের বেতন বাকি থাকায় তাদের ২০ মিনিট বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখেন।
এ সময় তারা কান্নাকাটি করলে তখন প্রধান শিক্ষিকা বলেন, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হলে তাদের দরখাস্ত দিতে হবে। তখন ছাত্ররা এ দরখস্ত লিখতে গিয়ে চলে যায় আরো দশ মিনিট। দেড় ঘন্টার পরীক্ষায় ত্রিশ মিনিট চলে যাওয়ার পর তারা দরখাস্ত প্রদানের পর ভয় আর ভীতিকর পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে ঘটনাটি অভিভাবকদের বলে। অভিভাবকরা স্কুল প্রধানকে দরখাস্ত নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্রদের বেতন পরিশোধ না হলে দরখাস্ত নেয়ার নিয়ম রয়েছে। কোমলমতি ছাত্রদের প্রতি অমানবিক এ আচরণের বিষয়টি শ্রীমঙ্গলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করলে তারা তা দেখছেন বলে অভিভাবকদের আশ্বস্থ করেন। উল্লেখ্য টেস্ট পরীক্ষার দিনই এস এম তাওহিদ আল হাসাইন ৫ম শ্রেনীতে পিইসি পরীক্ষায় টেলেন্টপুলে বৃত্তি পায়। অথচ এই মেধাবী ছাত্রের সাথে সম্পূর্ণ নীতি বহিঃভূত আচরণ করেন প্রধান শিক্ষিকা। প্রেস-বিজ্ঞপ্তি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd