সিলেট ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ধর্ম পরিবর্তন করে বাংলাদেশি যুবককে বিয়ে করে দেশ ছেড়েছিলেন ভারতীয় তরুণী মৌসুমী দাস (২১)। নাম পরিবর্তন করে হয়েছেন ফাতিমা জান্নাত। অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক ফাতিমাকে ফিরিয়ে নিতে চায় আসাম রাজ্য সরকার। তবে ফাতিমা স্বামীকে ছেড়ে যেতে চান না। তিনি বাংলাদেশ থাকার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আসামের কাছার জেলার শিলচরে বাণিজ্য মেলায় অংশ নেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নুমান বাদশা।
সেখানেই তার পরিচয় হয় করিমগেঞ্জর রবীন্দ্র সদন গার্লস কলেজের তৃতীয় বর্ষের নারী শিক্ষার্থী মৌসুমীর সঙ্গে। দুজনের পরিচয় পরিণত হয় ভালোবাসায়। বাদশার হাত ধরে ভারত ত্যাগ করেন মৌসুমী। গত ১২ই মার্চ বাসা ছাড়েন মৌসুমী। ওইদিনই করিমগঞ্জ পুলিশ থানায় মৌসুমীর পরিবার অভিযোগ দায়ের করে। ১৩ই মার্চ অপহরণের মামলা করে করিমগঞ্জ পুলিশ। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই বাদশার বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয় যাতে তিনি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আসতে না পারেন। সেটি কার্যকর হওয়ার আগেই বাংলাদেশে ফিরেন বাদশা। বিষয়টি প্রেম ঘটিত- তা পরিষ্কার হওয়ার পরই বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনারের সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর ফাতিমাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। ফাতিমা পুলিশকে জানিয়েছেন, যে তিনি নিজের ইচ্ছাতেই বাংলাদেশে এসেছেন এবং তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি বলেন, এখানে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চাই। তিনি বলেন, আমি মুসলিম হয়েছি এবং ঢাকায় সুখে আছি। ফাতিমার বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, কোনো রকম বৈধ পাসপোর্ট বা নথি ছাড়াই আগরতলা দিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এদিকে ফাতিমাকে ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলে আসাম রাজ্য সরকারের কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd