সিলেট ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের কানাইঘাটে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের সরকারী বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাৎ করায় সরকারের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর পক্ষে খালপার গ্রামের মৃত মনাফ আলীর পুত্র লুৎফুর রহমানসহ ১৭ জন স্বাক্ষরিত এবং মৃত রেহমান আলীর পুত্র প্রতিবন্ধী সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে ইতিমধ্যে পৃথক পৃথক কয়েকটি অভিযোগ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন তার ওয়ার্ডের খালপার গ্রামের মৃত রেহমান আলীর পুত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী সেলিম উদ্দিনের পঙ্গুভাতার ৮হাজার ২শত টাকা বিভিন্ন অযুহাতে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও তিনি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের অতি দরিদ্র কর্মসূচীর আওতায় ওয়ার্ডের সিছরাউলী কালর্ভাট হইতে আটলারপাহাড় জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা রাতের আধারে কোন ধরনের মাটি কাজের শ্রমিক না লাগিয়ে এক্সলেভেটর দিয়ে নামমাত্র কাজ করে প্রকল্পের ২লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা, একই অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পের আওতায় ভেখভেখি হইতে সরিষার খাল পর্যন্ত রাস্তার উন্নয়নে আরো ২লক্ষ ৮৮হাজার টাকা, এলজিএসপির আওয়তায় খালপার গ্রামের সুরমা ডাইক পিছের মুখের বক্করের বাড়ীর পাশ হইতে তরিক হাজির বাড়ী পর্যন্ত রাস্তার ইটসলিং এর বরাদ্ধকৃত ১লক্ষ ৭২ হাজার টাকা, টি.আর. ক্রমিক নং-৪২ প্রকল্পের খালোপার পূর্ব মসজিদ পর্যন্ত ঈদগাহ রাস্তার উন্নয়নে ৫০ হাজার টাকা, টি.আর ক্রমিক নং-৪৩ প্রকল্পের আওতায় খালপার গ্রামের সুরমা ডাইক হইতে দারুস সুন্নাহ সুলতানিয়া মাদ্রাসার রাস্তা উন্নয়নে ৩৮ হাজার টাকার উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের অর্থ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।
বিশ^স্থ সূত্রে জানা যায়, মাটি ভরাট প্রকল্পের কাজে বিভিন্ন স্থানে মাটির পরিবর্তে কচুরিপানাও দেয়া হয়েছে এবং এসব কচুরিপানা কাদা দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিন। তাছাড়া বিজিএফ ও সরকার প্রদত্ত ভিজিএফ কার্ডধারীদের কাছ থেকে তিনি ৫ শত টাকা করে আত্মসাত করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এব্যাপারে এলাকাবাসী অভিযোগে উল্লেখিত বিষয়গুলো তদন্ত পূর্বক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্ত এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত চলছে। অভিযোগের অনেকটাই সত্যতা মিলেছে। ইউপি সদস্য মিনহাজ উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যে বলে এড়িয়ে যান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd