সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৮
এ বিষয়ে নিহত বিউটি আক্তারের বাবা সায়েদ আলী বলেন, ‘পুলিশ এখন নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছে আমাদের।’ বিউটি ধর্ষণের মামলা থানায় না করে আদালতে কেন করলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সায়েদ আলী বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সরাসরি আদালতে মামলা দায়ের করি।’
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বলেন, ‘বিউটি হত্যাকান্ড ও ধর্ষণের বিষয়ে পুলিশ কোনও পর্যায়েই অবহেলা কিংবা গাফিলতি করেনি। যখনই মামলাটি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে বাবুলের মা-সহ দু’জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে। বাবুলকে গ্রেফতারে আমাদের টিম কাজ করছে’।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘তদন্ত শুরু করেছি। এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ‘মামলার শুরুতেই পুলিশের কোনও গাফিলতি কিংবা অবেহলা আছে কি-না বা মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কোনও ধরনের অবহেলা ছিল কি-না বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হচ্ছে’।
উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৪) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এরপর এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। এক মাস নির্যাতনের পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল। এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলমচানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। এরপর বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। বিষয়টি জানা-জানি হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এদিকে, বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ইসমাইলকে আটক করে। কিন্তু মূল হোতা বাবুলকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ।সূত্র-habiganj-samachar.com
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd