সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০১৮
প্রশ্নটি করা হয় ’এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি সেলিব্রিটি শো’তে।
এতে উপস্থাপিকা পূর্ণিমার প্রশ্ন, কার সাথে ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন আপনি?
প্রশ্নের উত্তরে মিশা সওদাগর জানান, ‘মৌসুমী ও পূর্ণিমার সাথে’ উপস্থাপিকা পূর্ণিমা হা হা হা করে হেসে ওঠেন।
অনুষ্ঠানের এই প্রশ্নটি নিয়েই চলছে আলোচনা সমালোচনা।
বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা। কেউ কেউ তাকে সিনেমার ভয়ঙ্কর পুরুষও বলে থাকেন। কারণ পর্দায় তিনি নেতিবাচক চরিত্র নিয়েই হাজির হন। কিন্তু বাস্তবে তার চরিত্র সম্পূর্ণই আলাদা।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভিতে ‘এবং পূর্ণিমা’ নামের একটি সেলিব্রিটি শো’তে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
আর সেখানেই উঠে আসে মিশা সওদাগরের অভিনয় ও ব্যক্তি জীবনের নানা প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানে পূর্ণিমা মিশাকে প্রশ্ন করেন ‘কার সাথে ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয় করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন আপনি?
উত্তরে মিশা সওদাগর জানান, ‘মৌসুমী ও পূর্ণিমার সাথে’ উপস্থাপিকা পূর্ণিমা হা হা হা করে হেসে ওঠেন। কিন্তু এই প্রশ্নটি নিয়েই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
পরে অবশ্য পূর্ণিমা বলছেন, প্রশ্নের পীঠে এমন প্রশ্নটি মূলত মজা করেই করা হয়েছে।
কিন্তু ফেসবুক দুনিয়া এমনটা মানতে নারাজ। তাদের সমালোচনায় ফেসবুক …। কারণ পূর্ণিমার এমন উত্তর যে পছন্দ হয়নি ভক্তদের। ফেসবুকে তারা বলছে, এমন এক সময় ‘ধর্ষণ’ শব্দটি নিয়ে এমন প্রশ্ন করা হলো, যখন হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে স্কুলছাত্রী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার পর মাঠে পড়ে থাকা তার নিথর দেহ ভেসে বেড়াচ্ছে মানুষের ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে দেশের জনপ্রিয় একজন সেলিব্রেটির ধর্ষণ নিয়ে করা মন্তব্যও এখনও মানুষের কাছে তাজা। তার মধ্যে পূর্ণিমার এমন মন্তব্য হতবাক করেছে দেশবাসীকে।
আদিত্য আরাফাত বলেছেন ‘ধর্ষন কি হাসি-ঠাট্টার বিষয়? সিনেমায় ধর্ষন করতে কেমন মজা লাগে? অভিনয়ে কাকে ধর্ষন করতে ভালো লাগে-এরকম প্রশ্ন হাসতে হাসতে নায়িকা পূর্নিমা অবলীলায় করে ফেললেন টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে; যেনো ধর্ষন তামশার বিষয়। অনুষ্ঠানের অতিথি মিশা সওদাগরকেও মনে হলো এমন প্রশ্নে বেশ মজা পেয়েছেন। মিশা চাইলে সাবজেক্ট চেঞ্জ করতে পারতেন, করলেন না।
নায়িকা পূর্ণিমা সিনেমায় মিথ্যা মিথ্যা ধর্ষিত হলেও, কখনো তাকে ছুঁতে পারেনি প্রকৃত ধর্ষিতার কান্না, হাহাকার। তার প্রশ্ন শুনে মনে হয়েছে এমন অভিনয় তাকে যৌন সুড়সুড়িই দিতো। একজন নারী হয়েও ধর্ষন নিয়ে তার এমন ঠাট্টামূলক প্রশ্ন অগ্রহনযোগ্য। টেলিভিশনের শো’তে এমন প্রশ্ন করায় তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমাদের মিডিয়ার তারকারা যেখানে ধর্ষনের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন সেখানে তাদের কেউ কেউ এ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছেন!’
মাহিন নামের আরেকজন ফেসবুকে লিখেছেন, পৃথিবী জুড়ে চলচ্চিত্র তারকারা যখন সকল অনৈতিক আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তখন আমাদের তারকারা চলচ্চিত্র শেষে কুসংস্কারে ডুবে যায়। তেমনি কখন কি বলতে হবে এই রুচিশীলতাটাও নেই ওদের! অদ্ভুত?
মামুন নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, মানছি, আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রায় দেশের কোথাও কোথাও এমন ঘটনা শোনা যায়। যাদের শাস্তির দাবিতে মানুষ রাস্তায় আন্দোলনে নামে, বিক্ষোভ-মানববন্ধন করে ‘মানুষরূপী পশুর’ বিচারের জন্য। সেখানে প্রকাশ্যে একজন নারী হয়ে কীভাবে এমন শব্দটি উচ্চারণ করতে পারলেন আমাদেরই একজন প্রিয় অভিনেত্রী, তা আমার বোধগম্য নয়।
এপর একজন ছোট্ট করে বলেছেন , ফালতু নায়িকা।
/এজেড
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd