সিলেটে দুই দফা ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৮

স্টাফ রিপোর্ট :: বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার বিকেলে দুই দফা ঘূর্ণিঝড়ে সিলেটে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে বহু ঘর-বাড়ি, গাছপালা, ফসল বিনষ্ট করেছে। বিদ্যুত সংযোগও সাময়িক বিপর্যস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় প্রথম দফা ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। ঝড়ের সাথে ছিলো প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছ, প্রচন্ড বেগে নগরীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ওই ঘূর্ণিঝড়ের স্থায়িত্ব ছিলো ২ মিনিট। ঘূর্ণিঝড়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সাইনবোর্ড ও ব্যানার উপড়ে পড়ে। অনেক বস্তি এলাকায় ঘরের চাল উড়ে যায়। প্রচন্ড বাতাসের কারণে অনেক বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাটের উপর গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে এবং বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। ঝড়ের সাথে প্রবল বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া থাকায় পথচারীরা পড়েন বেকায়দায়। ঝড় শুরু হবার সাথে সাথে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বাদামবাগিচা এলাকার বাসিন্দা রাজা মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়ে আউটার স্টেডিয়ামের পাশের টিনের তৈরী মসজিদ উড়ে গিয়ে পড়ে পাশের বাসিন্দা আব্দুল মতিনের বাসায়। এসময় ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ওই ঘরের এক মহিলা আহত হন। পশ্চিম পীরমহল্লা এলাকার বাসিন্দা শিল্পী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বিশেষ করে টিনের তৈরী অনেক বাসার চালা উড়ে যায়। আম্বরখানা এলাকার পথচারী নিয়াজ জানান, ঝড়ে আম্বরখানার একটি হোটেলের গ¬াস ভেঙ্গে যায়। একইভাবে ভেঙ্গে পড়ে মুসলিম সাহিত্য সংসদের প্রাঙ্গনে থাকা মেলার স্টল।
ঘূর্ণিঝড়ের পর নগরীর বিদ্যুত সংযোগ কয়েক ঘন্টার জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও রাত ১টার পর বিদ্যুত সংযোগ স্বাভাবিক হতে থাকে বলে বিউবো’র একটি সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে, শুক্রবার বিকালে দ্বিতীয় দফা ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অনেক স্থানে ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়। অনেক স্থানে গাছ-পালা উপড়ে পড়ে। ঘূর্ণিঝড়ের পর নগরীর অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ চালু হয় রাত ৭টা থেকে।
শুক্রবার সকালে সিলেটে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করলেও বিকাল সাড়ে ৪টার পর থেকে আবহাওয়া প্রতিকূল হতে থাকে। এ সময় শুরু হয় দমকা হাওয়া। সাথে শিলা বৃষ্টিও। ঝড়ে দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারসহ অনেক স্থানে গাছ-পালা রাস্তায় উপড়ে পড়েছে। এ কারণে ওই রাস্তায় যান চলাচল সাময়িক ব্যাহত হয়। এ ব্যাপারে সিলেট আবহাওয়া অফিসের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

March 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..