সিলেটে হারবাল চিকিৎসার নামে ভয়াবহ প্রতারণার ফাঁদ

প্রকাশিত: ৪:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন হারবাল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ফার্মেসি গুলোতে বেশ কিছুদিন যাবদ অভিযান পরিচালনা করলেও হারবাল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে মাঝে কোন ভ্রম্যমান আদালত অভিযান চালাতে দেখা যায়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, সিলেট নগরী প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে হারবাল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর চিকিৎসা ব্যবসার বৈধ কোনো অনুমতি নেই। অথচ এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে সব ধরনের রোগ বিশেষ করে যৌনরোগের চিকিৎসার গ্যারান্টি দেওয়া হয়। সাধারণ জনগণও প্রতারিত হচ্ছে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে হারবাল চিকিৎসা নিয়ে। সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এলাকায় রয়েছে কলিকাতা হারবাল, ইন্ডিয়া হারবাল, মডার্ন হারবালসহ শতাধিক হারবাল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। তারা স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচেছ হারবালের নামে প্রতারণার ব্যবসা। সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলো হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ভেজাল ওষুধে সয়লাব হয়েছে। সিলেট নগরীরসহ বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুদৃশ্য সাইন বোর্ড ও সু-সজ্জিত চেম্বার ভাড়া করে ইউনানী, আয়ূর্বেদিক পদ্যতিতে দাওয়া খানা, হারবাল সেন্টারসহ নানান চ্যালেঞ্জিং নাম দিয়ে পরিচালিত এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়ে শারীরিক মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ।

এর অন্তরালে চলছে শুধুই চিকিৎসার নামে প্রতারণার ব্যবসা। এসব চিকিৎসকদের নেই কোনো সার্টিফিকেট কিংবা বৈধ কোনো অনুমতিপত্র। আছে নামের আগে ও পিছনে কতগুলো পদবী। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ওষুধ প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ লোকজন। অনুসন্ধানে জানা যাায়, গাছগাছড়া, লতাপাতা ও ফলমূল দিয়ে তৈরি ওষুধে ভেজাল, বিস্ময়কর মনে হলেও সত্য। হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধের সুনামকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির নামধারী হেকিম ও কবিরাজ চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে যাচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ঔষধ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে ক্ষতির শিকার হচ্ছে সাধারণ লোকজন। অন্যদিকে, অনুমোদন ছাড়াই অনেকেই ভেজাল ঔষুধ তৈরি করে দোকান বা বিভিন্ন সড়কের গলিতে ফ্লাট নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। দ্রুত ফল দেখাতে গিয়ে বিভিন্ন সময় হাঁপানির ওষুধে উচ্চ মাত্রার স্টেরয়েড, মোটা হওয়ার ওষুধে পেরিকটিন, যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির ওষুধে সিলেন্ডা, সাইট্রেট, ভায়াগ্রা, সেনেগ্রা, ফর্সা হওয়ার ক্রিমে স্যালিসাইলিক এসিড, দাঁত পরিষ্কারে হাইড্রোক্লরিক এসিড মেশানো হয়। এমনকি হারবাল ও আয়র্বেদিক ঔষুধে আফিন ও মদ ব্যবহার হচ্ছে অহরহ। সেগুলোর অর্থ সাধারণ মানুষ জীবনেও শুনে নাই। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিয়ে ভোক্তভূগী রোগিদের রক্ষার্থে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের সচেতন নাগরিক।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

March 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..