সুনামগঞ্জে এমপি রতনের নির্দেশে আ’লীগের সহ সভাপতির চেম্বারে হামলা-ভাংচুর

প্রকাশিত: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০১৮

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা জনতা উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষককে সুনামগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি কতৃক মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে সোমবার লাঞ্চিত করায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ’র সভাপতি ও উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি সম্পাদক আণলমগীর কবীরের দেয়া বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার এমপি রতন অনুসারীদের মধ্যে নতুন করে উক্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।’ এমপি রতন অনুসারীরা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ ও আশপাশে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচী পালণ করার পর ওই সহ সভাপতির ব্যাক্তিগত চেম্বারে হামলা ও ভাংচুর চালায়।’

উপজেলা সদরের জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে দোকানঘর নির্মাণ, নামফলক ভেঙ্গে ফেলা এবং ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি আলমগীর কবীরের স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ধর্মপাশা জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও ধর্মপাশা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ব্যানারে মঙ্গলবার মুলত মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ধর্মপাশা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শামীম আহেমদ বিলকিস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমা-ার রুহল আমিন তালুকদার, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য শামীম আহমেদ মুরাদ, ধর্মপাশা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জনতা মডেল উ্চ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগূীর কবীর বলেন, আমার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির অভিযোগটি মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’ ম্যানেজিং কমিটির সকল সদস্যকে নিয়ে সভা করে রেজুলেশনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মাঠের এক কোনে একটি ক্যান্টিন নির্মাণ কাজ চলছে। এখানে কোনো নামফলক ছিল না। এটিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অকথ্য অম্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন সাংসদ মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি । তিনি দাবি করেন, স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নির্দেশে মঙ্গলবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে উপজেলা সদর বাজারে আমার ব্যক্তিগত চেম্বারের তাঁর অনুসারী শামীম আহমেদ মুরাদ,সেলিম আহম্মেদসহ ২০ থেকে ২৫জন মিলে আমার চেম্বারের তালা ভেঙ্গে ভেতরে থাকা জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়ালে টাঙ্গানো ছবি টেনে ছিড়ে ফেলা, চেয়ার, টেবিল , টিভি , ফ্রিজ সহ সমস্ত মালামাল ভাংচুর করেছে।’

শামীম আহমেদ মুরাদ ও সেলিম আহম্মেদ তাদের বিরুদ্ধে আলমগীর কবীরের আনা আনা অভিযোগ তাঁরা অস্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন,আলমগীর কবীর তাঁর নিজের দূর্নূীতি ও অনিয়ম ঢাঁকতেই তার লোকজন দিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার মঙ্গলবার রাতে বলেন, এ সংক্রান্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আমি এখনো পাইনি।’তবে চেম্বারের ভেতরে কিছু মালামাল ভাঙ্গা অবস্থায় পাওয়া গেছে।

সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি মঙ্গলবার রাতে বলেন, হামলা ও ভাংচুর করার জন্য আমি কাউকে নির্দেশ দিইনি। জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলমগীর কবীর বিদ্যালয়ের মাঠটিকে দখল করে এ মাঠটির সৌন্দর্য্য নষ্ট করার পরিকল্পনা করেছেন। তাঁর নিজের স্বার্থ হাসিল করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। জনতা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টিকে ঘিরে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কথাও শুনতে পাচ্ছ্।ি এ গুলো ঢাকতেই তিনি আমার বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

March 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..