সিলেট ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৩ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের জৈন্তাপুরে মুক্তিযোদ্ধার খামার দখলে মরিয়া ‘ভূমিদস্যু’রা। মৎস্য আহরনে তারা বারবার বাঁধা দিচ্ছে তাকে। স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সহায়তা পাচ্ছেন না তিনি। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রশসনের বৈরীতাই ক্ষতিগ্রস্থ করে চলেছে তাকে। এতে করে চরম অসহায়ত্ব বোধ করছেন একাত্তুরের যুদ্ধাহত এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
প্রশাসন-সহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা গ্রামের মরহুম মাকসুদ আলীর পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল জলিল। বিগত ২০০৮ সালে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাকে মৎস্য খামার করার জন্য সড়ক ও জনপথের (সওজ) ১কিঃমিঃ ভূমি লীজ দেয়া হয়। মেয়াদের ৬০ দিন পূর্বে লীজ নবায়ন করার শর্তে লীজ দেয়া ভূমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল খামার করে অদ্যাবধি মৎস্য লালন ও আহরণ করে আসছেন। এতে করে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও লুটেরা প্রকৃতির একদল মানুষের শ্যানদৃষ্টি পড়ে তার খামারের উপর। তারা নানা কৌশলে সওজ’র কতিপয় অসাধু কর্তা-ব্যক্তিদের হাত করে তার সাজানো খামার দখলে নেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত হয়। এ অবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল ২০১২ সালে মহামান্য হাইকোর্টে রীট পিটিশন ( নং-৭০৪২/১২) করে তার তৈরী সৎস্য খামার-সহ ওই ভূমির উপর স্থিতাবস্থার আদেশ গ্রহণ করেন এবং অদ্যাবধি তা’ ভোগদখল করে আসছেন। অতি সম্প্রতি একই জৈন্তাপুর উপজেলার বিরাইমারা গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র ফুল মিয়া-সহ তার সহযোগিরা আদালতের স্থিাবস্থা লংঘণ করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিলের মৎস্য খামার লুট করে নেয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করতে থাকে।বাধ্য হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার-সহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আবেদন নিবেদন করে তার খামার ও ভোগদখল রক্ষায় প্রশাসনিক সহায়তা কামনা করেন। পাশাপাশি সিলেটের জৈন্তাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেন। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে বর্তমান সওজ কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশ তাকে কোন প্রকার সহায়তা না দিয়ে উল্টো বৈরীতা পোষন করে চলেছে। ফলে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা তার মৎস্যখামারে লালিত মৎস্য আহরণ করতে পারছেন না। খামার রক্ষায় প্রশাসনিক সহায়তা চেয়ে বর্তমানে তিনি দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এবং চোখের পানি ফেলছেন।
এমতাবস্থায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দল জলিল তার খামার রক্ষাসহ মৎস্য আহরনে প্রশাসনিক সহায়তা দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের বর্তমান সরকার-সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ ও দ্রুততর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd