সিলেট ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৩ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁও গ্রামে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে বিকাল ৪টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্স কাকন বিবির মরদেহ নিয়ে দোয়ারাবাজারের পথে যাত্রা শুরু করে।
এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
কাকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি জানান, মরদেহ দোয়ারাবাজারে পৌঁছানোর পর সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এর পর বিকাল ৪টায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হবে।
বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শতবর্ষী কাকন বিবি মারা যান।
গত সোমবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। এর আগে গত বছর জুলাইয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর কয়েক দিন হাসপাতালে ছিলেন।
১৯৭১ সালে তিন দিন বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে যুদ্ধে চলে যান কাকন বিবি। জুনে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন তিনি। বাঙ্কারে আটকে দিনের পর দিন তাকে নির্যাতন করে পাকিস্তানি সেনারা।
ছাড়া পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর কাছে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। রহমত আলীর দলে সদস্য হয়ে সশস্ত্র যুদ্ধ করেন তিনি। একই সঙ্গে চালিয়ে যান গুপ্তচরের কাজ।
১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে টেংরাটিলাসহ প্রায় নয়টি সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি। এ সময় কয়েকটি গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। উরুতে কয়েকটি গুলির দাগ এখনও আছে। টেংরাটিলা যুদ্ধের পর আমবাড়ি, বাংলাবাজার, টেবলাই, বালিউরা, মহব্বতপুর, বেতুরা, দূরবীণটিলা, আধারটিলাসহ সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেন কাকন বিবি।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে তাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd