সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০১৮
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হাওর রক্ষাবেড়ি বাঁধে গড়াগড়ি দেয়ার কারনে পিআইসির সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ৭ বছরের এক শিশুকে মাটিতে আছড়ে ফেলে ধান কাঁটার কাঁচি দিয়ে হাতের ৩টি আঙ্গুল কেঁটে দিলেন।’ ১৭ মার্চ শনিবার বিকেলে উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিন ইউনিয়নের মহালিয়া হাওরের ময়নাখালী বেড়িবাঁধ এলাকায় এমন বর্বর কান্ড ঘটিয়েছেন যুবলীগ নেতা। এ নিয়ে প্রশাসন ও জনমনে তোলপাড় শুরু হয়েছে।’
জানা গেছে,তাহিরপুরের দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের মহালিয়া হাওরের ময়নাখালি বেড়িবাঁধ এলাকায় শনিবার বিকেলে সুলেমানপুর গ্রামের শাহনুর মিয়ার স্থানীয় মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণীতে পড়–য়া ৭ বছর বয়সী ছেলে ইয়াহিন সহপাঠিদের সাথে নিয়ে মহালিয়া হাওরের ময়নাখালি নির্মাণনাদীন বেড়ি বাঁেধর ওপর গড়াগড়ি দেয়ার কারনে ক্ষুদ্ধ হয়ে সুলেমানপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে ২৮নং পিআইসির সভাপতি ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবে আহবায়ক আবদুল অদুদ শিশু ইয়াহিনকে দৌড়াইয়া ধরে এনে বাঁেধর মাটির ওপর একাধিকবার আছড়ে ফেলেন।’ এক পর্যঅয়ে শিশু ইয়াহিন বাঁচার আকুঁতি জানিয়ে অদুদের হাতে পায়ে ধরে জান ভিক্ষা চাওয়ার পর টলেনি তার মন। অদুদ ধান কাঁটার কাঁচি দিয়ে ওই শিশুর ডান হাতের ৩টি আঙ্গুল কেঁেট দিলেন।’ পরে স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন রক্তার্থ অবস্থায় শিমুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।’
শিশু ইয়াহিনের দরিদ্র কৃষক পিতা শাহনুর মিয়া শনিবার রাতে বলেন, আমি গরীব মানুষ হাওরের বেড়িবাঁধে গিয়ে গড়াগড়ি দেয়ার অপরাধে আমার শিশু সন্তানের হাতের তিনটি আঙ্গুল কেঁটে দিল যুবলীগ নেতা অদুদ এখন কী করে আমার ছেলে কাঁটা আঙ্গুল দিয়ে স্কুলে গিয়ে লেখা পড়া করবে?।
তাহিরপুরের মহালিয়া হাওরের পিআইসির সভাপতি ও যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আবদুল অদুদের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে শনিবার রাতে শিশুর আঙ্গুল কেঁটে ফেলার অভিযোগ প্রথমে অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে বললেন শিশুরা বাঁেধ গিয়ে দুষ্টামি করছিলো, বাঁেধর মাটি সড়ে যাবে তাই শিশুদেও কিছুটা শাসন করেছি। শিশু ইয়াহিনের আঙ্গুল কেঁটে নেয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফের অদুদ বলেন, ধান কাঁটার কাঁচি দিয়ে হয়ত সে নিজেই আঙ্গুল কেঁটে ফেলেছে।’ ধান কাঁটার কাঁচি ওই শিশুর হাতে কীভাবে এল এমন প্রশ্নের কোন সদুওর তিনি না দিয়ে বললেন ভাই আমার মাথা ঠিক ছিলানা রাগের মাথায় ঘটনাটা আমি ঘটিয়ে ফেলেছি।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রী নন্দন কানি ধর শনিবার রাত পৌনে ১০টায় বললেন, এমন বর্বর ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd