শুরুটা অবশ্য হতাশার ছিল লাল-সবুজদের। শ্রীলঙ্কার ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। এই ৩৩ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অবশ্য বাংলাদেশকে আশাহত হতে দেননি মুশফিক-তামিম জুটি। মূল ভিতটা গড়ে দেন দুজনে। যদিও ১৩তম ওভারে ৬৪ রানের হুমকি হয়ে ওঠা এই জুটি ভেঙে দেন আপোনসো। আপোনসোর বলে থিসারাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। বিদায় নেন ২৮ রানে।
এরপর ফিফটি করেন তামিম ইকবাল। কিন্তু মনোযাগ রাখতে পারেননি। গুনাথিলাকার বলে ৫০ রানে গ্ল্যাভসবন্দি হয়ে ফিরে যান। তার ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়।
এরপর সাকিব আল হাসান, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ দ্রুত বিদায় নিলে চিন্তার ভাঁজ পড়ে বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু শেষ দিকে হাল ছাড়েননি মাহমুদউল্লাহ। জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন হাসি মুখে। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
অঘোষিত সেমিফাইনালে অবশ্য শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চেপে ধরা বোলিংয়ে টসে হেরে খেলতে নেমে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। যদিও শেষটা হয়েছে এর উল্টো। থিসারা পেরেরা ও কুসল পেরেরার দুর্দান্ত জুটিতে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।
চোট কাটিয়ে খেলতে নেমে উইকেট তুলে নেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অঘোষিত সেমিফাইনালে উঁচিয়ে মারতে গিয়ে তালুবন্দি হন ওপেনার গুনাথিলাকা।
বল দিয়ে এরপর লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে ডট বলের সংখ্যা বাড়াচ্ছিলেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তাতে ধৈর্য হারা হয়ে তুলে মারতে গিয়েই ১১ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুসল মেন্ডিস। এরপর রানের প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে গেছেন উপুল থারাঙ্গা। নতুন নামা শানাকাকেও থিতু হতে দেননি মোস্তাফিজুর রহমান। মুশফিকের গ্ল্যাভসবন্দি করে বিদায় দেন তাকে।
রানের চাকা এরপরেও সচল করতে পারছিল না লঙ্কানরা। মেহেদী হাসান মিরাজের স্পিনে সাজঘরে ফেরেন জীবন মেন্ডিস। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারানো লঙ্কানদের ইনিংসে প্রাণ ফেরায় কুসল পেরেরা ও থিসারা পেরারা জুটি। এই জুটিতেই আসে ৯৭ রান। গুরুত্বপূর্ণ জুটিকে ১৯তম ওভারে ভাঙেন সৌম্য সরকার। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ৪০ বলে ৬১ রানে ফেরেন পেরেরা। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছয়। রানের চাকা সমৃদ্ধ করে শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্যাচ উঠিয়ে ফিরে যান থিসারা পেরেরা। ৩৭ বলে ৫৮ রানে ফেরেন থিসারা। যাতে ছিল ৩টি চার ও ৩টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা।
সাকিব ২ ওভারে ৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। ৩৯ রান দিয়ে দুটি নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। একটি করে নিয়েছেন রুবেল হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।