মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, হামলার দিন রাতে মঈনকে ও পরদিন রোববার ভোরে ফয়জুলের গ্রামের সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কলিয়ার কাপন গ্রাম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে ধরে নিয়ে আসা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কাহারকে রোববার বিকেলে ও ব্যবসায়ী মঈনকে সোমবার রাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তারা তাদের বাড়িতে চলে গেছেন।
জাফর ইকবালের উপর হামলার ঘটনায় র্যাবের কাছে আর কেউ আটক নেই। হামলাকারী ফয়জুর হাসানকে আমরা পুলিশের কাছে দিয়ে দিয়েছি। সে পুলিশের জিম্মায় ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানান র্যাব-৯ এর প্রধান।
তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হাতে আটক হামলাকারী ফয়জুরের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, ভাই এনামুল হাসান ও মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমানকে এখনও ছাড়া হয়নি। তাদের এখনও জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান।
এদিকে মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমানের স্ত্রী খাদিজা আক্তার রিপা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এতদিন তার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হলেও আজ তাকে জানানো হয় তাকে জরুরি জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাই দেখা করা যাবে না।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠানের পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথা, পিঠে ও হাতে ছুরিকাঘাত করে ফয়জুর। পরে হামলাকারীকে শিক্ষার্থীরা ধরে পিটুনি দিয়ে আটকে রাখে।
এ ঘটনায় ফয়জুরের বাবা-মা, ভাই, চাচা, মামা এবং সে যে দোকানে চাকরি করতো সেই দোকানের মালিক মঈন উদ্দিনসহ ৬ জনকে আটক করে র্যাব ও পুলিশ।