সিলেট ৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৯ই শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০১৮
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র পেটানোর অভিযোগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদারকে একক আসামী করে গত বুধবার রাতে মামলা রেকর্ড করেছে পুলিশ।
জকিগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, স্কুল ছাত্র পেটানোর অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদারকে আসামী করে হাইদ্রাবন্দ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের তদন্ত শেষে বুধবার রাতে ৩২৩, ৩২৫, ৩৪১ ধারায় মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হয়।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ভিত্তিহীনভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাজানো নাটক।
উল্লেখ্য, বুধবার জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার সরকারি গাড়ি নিয়ে পৌর এলাকার হাইদ্রাবন্দ গ্রামের রাস্তার মধ্যে দিয়ে যাবার সময় নরসিংহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জহিরুল ইসলাম মুন্না গাড়ির গ্লাসে হাত দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার তাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে জকিগঞ্জ থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদারকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ দাবি করেন, স্কুল ছাত্রের হাতে থাকা প্রায় এক হাত লম্বা লোহার রড দিয়ে চলন্ত গাড়ির বাম পাশে সে ধরে রাখছিলো। যার কারণে গাড়িতে বিকট শব্দ হয়। সাথে সাথে ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করে। যদি তাৎক্ষণিক গাড়ি ব্রেক না হতো তাহলে গাড়ির পিছনের চাকায় ছেলেটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হত। তিনি গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করেন এবং ছেলেটিকে ধমক দিলে সে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd