সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০১৮
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হরিপুর বাজার মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে থানায় জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ৫২ জনের নামোল্লেখসহ অপ্সাগ আরো ১৫০/২০০ জন আসামী করা হয়েছে। এদিকে মামলার এজাহার নামিয় তিনজন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- কেন্দ্রি ঝিঙ্গাবাড়ী গ্রামের মছুন আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম (৪০), কেন্দ্রি গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে কবির আহমদ (৩৫) ও ১নং লক্ষীপুর আমবাড়ী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মাহফুজুল ইসলাম (২৭)।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাবেক সেনা অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান (৫২), সাবেক ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মিরন মিয়া (৫৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব আলী (৫৫), ওয়াজ মাহফিলের প্রধান বক্তা মাওলানা গাজি সুলোমান হুসাইন (৪১), ওয়াজ মাহফিল আয়োজক কমিটির সভাপতি মাওলানা আবুল বাশার (৫৬), শ্রীপুর পাথর কোয়ারীর সাধারণ সম্পাদক দিলদার হোসেন (৩৫), জৈন্তাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শ্রীপুর পাথর কোয়ারীর সভাপতি আব্দুল আহাদ (৪৫), বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম আব্দুন নূর (৪০), হরমুজ আলী (৫৭), সুলেমান হোসেন কন্টু (৪৭), হযরত আলী (৪৩), শরিফ উদ্দিন (২৮), হেলাল আহমদ (৩০), আব্দুল কাইয়ুম (৪০), আবুল খায়ের (৩৮), মাইজুল ইসলাম (৩৩), আব্দুল কাদির (৪০), আলী আসগর (৩৩), নুরু মিয়া (৩৬), আক্তার হোসেন (৩০), হারুন মিয়া হারু (৫৫), মঈনুদ্দিন (৩২), আব্দুল জব্বার (৩৫), মের্শেদ মিয়া (২৭), ফখরুল ইসলাম (৩৫), আছাব আলী (৪০), জাহাঙ্গীর (৩০), ইউপি সদস্য আব্দুল মোতালেব (৪৮), আব্দুল আহাদ (২২), জাকির হোসেন (৪০), সুহেল আহমদ (৩৬), আব্দুল মালিক (৪০), শাহীন (৩০), রুবেল (২৮), আব্দুল আহাদ (৪০), শাহীন (২০), সাদেক (৪০), আবুল (২৫), মাহফুজ (৩০), শামীম (২৭), নজরুল ইসলাম টেনলার (৩৫), ছানা উল্লা (৩০), আলী আসাদ (৩০), জাহাঙ্গীর (৩৫), জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪০), বাবুল (৩০), সাদেক (৩২), শরিফ (২৫) সহ অজ্ঞাত ১৫০/২০০ জন আসামী করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো: মঈনুল জাকির বলেন, এজাহার নামীয় ৩জন আসামী গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন অভিযোগ আমাদের আসেনি। পেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জৈন্তাপুরে উপজেলার উপজেলার আমবাড়ী পশ্চিম মহল্লা জামে মসজিদ মাঠে আয়োজিত বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা গাজি সুলোমান হুসাইন এর বক্তব্য প্রদানকালে সুন্নী ও ওয়াহাবি মতাদর্শীদের মধ্যে প্রায় চার ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে শিশুসহ এক মাদ্রাসা ছাত্র নিহত। সংঘর্ষে নারীসহ আহত হন প্রায় শতাধিক লোকজন। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
নিহতরা হলেন- হরিপুর মাদ্রাসার দাওরা হাদিস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ী মুজ্জাম্মিল হোসেন (২৮), আমবাড়ী গ্রামের সাইদুর রহমানের শিশু কন্যা সাদিয়া আক্তার (৩ মাস)।
সংঘর্ষের পর কয়েক হাজার লোক দেশিয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমবাড়ী গ্রামের শতাধিক ঘর-বাড়ীসহ কেন্দ্রি গ্রামে অবস্থিত জৈন্তাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এখলাছুর রহমানের বাড়ী পুড়িয়ে দেয়।
পরদিন মঙ্গলবার সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, এডিসি জেনারেল শহিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌরীন করিম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুনতাসির হাসান পলাশ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খাঁন মো: মঈনুল জাকির, ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে সংঘর্ষ ও ঘর-বাড়ি পুড়ানোর ঘটনায় এডিসি জেনারেল (সার্বিক)-কে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd