সুনামগঞ্জ তাহিরপুরের অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নেই শহীদ মিনার
প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
ক্রাইম ডেস্ক : সুনামগঞ্জ তাহিরপুরে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজো গড়ে উঠেনি শহীদ মিনার। তাই শহীদ দিবসে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে সম্মান জানাতে পারবে না। তাছাড়া শহীদ দিবস কিংবা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্বন্ধে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোন রকম আলোচনার আয়োজনও করেন না অধিকাংশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অধিকাংশ শিক্ষক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের দায়িত্ব দিয়ে আসেন ঐদিন অর্ধনমিত করে পতাকা উত্তোলনের। ফলে একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্পর্কে কোন কিছুই জানেনা শিক্ষার্থীরা। উপজেলা সদরের কিছু বিদ্যালয় ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করে তাছাড়া অন্যরা দিনটি শুধুমাত্র সরকারী ছুটি হিসেবেই পালন করে থাকেন।
তাহিরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তৃণা হাসান জানান, তাদের বিদ্যালয়ে কোন শহীদ মিনার নেই। শিক্ষার্থীরা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মাড়ালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আবুল মকসুদ জানায়, ২১শে ফেব্রুয়ারির জন্য ঐ দিন তার বিদ্যালয় বন্ধ থাকে, এর বাহিরে সে কিছুই জানে না।
জানা যায়, উপজেলায় ২ টি কলেজ, ১৯ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মাদ্রাসা এবং ১৩৪ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে বাদাঘাট, জনতা, বীরেন্দ্রনগর, ট্যাকেরঘাট, বালিজুরী আনোয়ারপুর সহ ৭ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে। অবশিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আজো শহীদ মিনার গড়ে ওঠে নি।
পাঠাবুকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও তাহিরপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজয় কুমার দে বলেন, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় শহীদ দিবসে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম সুবল বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ, সেই সাথে দিবসটি বিদ্যালয়ে পালন করা জরুরি।
তাহিরপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জাহান বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা প্রয়োজন।
তাহিরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, সরকারী কিংবা বেসরকারী উদ্যোগে হলেও প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।