সিলেটে নারী পুলিশের ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে আত্মহননের চেষ্টা

প্রকাশিত: ২:২৩ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৮

ক্রাইম ডেস্ক :: ‘ভাই আমি ফাঁসি দিলাম, লাশটা বাড়িত নিয়া যাইস’ ভাইয়ের কাছে এমন ম্যাসেজ পাঠিয়ে ব্লেড দিয়ে শরীর কেটে আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপির) এক নারী কনস্টেবল। তার নাম পপি রাণী দাস।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে নগরীর আম্বরখানা এলাকার মনিপুরী পাড়ার বাসা থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আম্বরখানা ফাঁড়ি পুলিশ। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় সেখানে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
সূত্র জানায়, সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে কারারক্ষী রিপন চন্দ্র দাসের সঙ্গে ৯ মাস আগে পপির বিয়ে হয় । গত চার মাস ধরে তারা আম্বরখানা মণিপুরী পাড়ার আলো ১/১১ নম্বর বাসায় তৃতীয় তলায় বসবাস করছেন। পপি রাণী এসএমপির কনস্টেবল হিসাবে আদালত পাড়ায় দায়িত্ব পালন করতেন। হবিগঞ্জের মাধপুর উপজেলার দীঘলবাক গ্রামে এ দম্পতির বাড়ি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, ‘ওই কনস্টেবল তালাবদ্ধ বাসায় নিজেই নিজের শরীর রক্তাক্ত করেন। খবর পেয়ে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই দেবাশীষের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কাউন্সিলর ও পুলিশের উপস্থিতিতে বাসার দুটি দরজা ভেঙে বিছানার ওপর থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় পপিকে পাওয়া যায় । এরপর তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ সময় বাসার মেঝে রক্তাক্ত ছিল ।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব জানান- পুলিশ কনস্টেবল পপির হাতে একাধিক ব্লেডের আঘাত পাওয়া গেছে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সে চিকিৎসা না নিয়েই বাসায় চলে যায়। তাকে পূনরায় হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য ওসমানী হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশকে বলা হয়েছে। এরপরও পপি থানায় কোন অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন


আর্কাইভ

February 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..