সিলেট ১৫ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ফুলশয্যার রাতে স্বামী জানতে পারলেন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। সম্বন্ধ করে বিয়ে। এরপর, স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ আনে স্ত্রীর পরিবার। টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া হতে থাকে বলে অভিযোগ। অবশেষে দমদম ক্যান্টনমেন্টের শুভঙ্কর ঘোষের বিরুদ্ধে গেল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতির নির্দেশেই ভ্যালেন্টাইনস ডে গিফট পেলেন শুভঙ্কর।
সম্বন্ধ করে বিয়ে। ফুলশয্যার রাতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষের স্ত্রী। পরীক্ষার পর জানা যায় স্ত্রী আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। অভিযোগ, গর্ভপাতের জন্য জোর করা হয়। রাজি না হওয়ায় টাকা চেয়ে চাপ দেওয়া শুরু হয়। এরপরই স্বামী শুভঙ্করের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনে স্ত্রীর পরিবার।
মামলার জেরে চাকরি চলে যায় শুভঙ্করের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন দমদমের একটি ক্লিনিকে আগেই পরীক্ষা করা হয়েছিল স্ত্রীর। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী স্ত্রীর পরিবার আগে থেকেই জানতো সন্তানসম্ভবার কথা। কিন্তু বারবার আবেদন করলেও ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের সেই রিপোর্ট এক প্রকার জোর করেই আটকে রেখেছিল দমদমের ওই ক্লিনিকটি। উপায় না দেখে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শুভঙ্কর ঘোষ।
বিচারপতি দেবাংশু বসাকের নির্দেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিনই সেই রিপোর্ট হাতে পেলেন শুভঙ্কর ঘোষ। সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য কমিশনকেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
প্রেগন্যান্সি রিপোর্টেই প্রমাণিত বিয়ের আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শুভঙ্কর ঘোষের স্ত্রী। তাই এবার হয়ত বধূ নির্যাতনের মামলা থেকে মুক্তি পাবেন শুভঙ্কর ঘোষ। সেক্ষেত্রে স্ত্রী ও তার পরিবারের নামে পাল্টা মামলা দায়ের করার কথা ভাবছেন তিনি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd