সিলেট ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
আজিজুর রহমান : এমিলি বেগম (২৪) তিনি সহকারী প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা,যাদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার আলোর পথ দেখান যে শিক্ষিকা,সেই শিক্ষিকার জীবন প্রদীপ এখন নিভু নিভু।
জীবনের শুরুতেই থেমে যায় তার বর্ণিল স্বপ্ন।আর জীবনযুদ্ধ সিনেমার গল্পকে হার মানিয়েছে।দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা নড়ছে।
চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে ব্যর্থ হয়ে সমাজের বিত্তবানদের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।জানিয়েছেন বাচাঁর আকুতি।
স্বামী মো:আলিম উদ্দিন অল্প বেতনের একটি চাকরিতে কর্মরত।তার পক্ষে স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয়।বাধ্য হয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনই সুস্হ্যতার আশা নিয়ে চিকিৎসকদের দুয়ারে দুয়ারে ছুটছেন।জীবন বাচাঁতে স্বামী এখন দিশেহারা।স্ত্রীকে জীবন চলার পথে উপযোগী করে উপস্থাপনে তিনি সম্পূর্ণরুপে অসহায়ত্বের সম্মুখীন।কোনো দিকে দিশা না পেয়ে সমাজের সকল স্তরের সম্মানীত নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগীতা চান।
তবে চিকিৎসকরা বলেছেন,যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে কিডনী প্রতিস্থাপন করা অতীব প্রয়োজন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বড়নগর গ্রামের মো:আলিম উদ্দিনের স্ত্রী এমিলি বেগম চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন।কারণ কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তার দরকার উন্নত চিকিৎসা।কিন্তু এমিলি বেগম এর পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কঠিন।
সমাজের দানবান ব্যাক্তিদের সহযোগিতা-সহমর্মিতা ও ভালবাসা পেলে আবারও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবেন এমিলি বেগম।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ডা: আলমগীর চৌধুরী জানান, তাঁর (এমিলি) দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। এমিলির বাবা মাহমদ আলী বলেন নতুন কিডনি সংগ্রহ করতে পারলে উনার (ডা: আলমগীর চৌ:) সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন। এমিলিকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য এবং প্রতি সপ্তাহে দুই দিন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমিলি বেগম এর ডায়ালাইসিস চলছে।
এমিলির বেগম স্বামী মো: আলিম উদ্দীন আলাপ কালে জানান,গত ১ আগষ্ট ডেলিভারির জন্য এমিলিকে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং ঐ দিন সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বাচ্চা সুস্থ থাকলেও মায়ের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঐ হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে তাকে নেওয়া হয় এবং বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট দেখে ডা: শাহানা ফেরদৌসী চৌধুরী বলেন, তাঁর একটি কিডনিতে ইনফেকশন রয়েছে, কিডনি কাজ করছেনা ফলে তাঁর শরীরে পানি জমে শরীর ফুলে যায়। স্বাভাবিক প্রস্রাব না হওয়ায় ডায়ালাইসিস করে পানি বের করে আনার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা ব্যয় বেশী হওয়ায় গত ৩ আগষ্ট তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে ঐ দিন তাকে আইসিইউ বিভাগে রাখা হয় এবং ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আই সি ইউ তে চিকিৎসা দেওয়ার পর ১৭ আগষ্ট তাকে মেডিসিন বিভাগে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।এদিকে,গত ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার তাকে (এমিলি) বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে অবস্থা আরো অবনতি হলে (৪ সেপ্টেম্বর) সোমবার তাকে পুনরায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন । আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না হওয়ায় তাঁর (এমিলি) চিকিৎসা বন্ধের পথে। সমাজের বিত্তবান ব্যাক্তিদের ভালবাসা ও আর্থিক সহযোগিতা পেলে এমিলি আবারও সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে পারেন। বাঁচতে পারবে তার কোলের অবুঝ শিশুসহ পরিবারের লোকজনদের নিয়ে। তাঁর স্বামী আলিম উদ্দীন এমিলির চিকিৎসার জন্য সকল প্রবাসী ও সমাজের বিত্তবান লোকদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। সবার সহমর্মিতা আর সহযোগিতাই পারে এমিলির আলো ফিরিয়ে দিতে । আর্থিক সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা এমিলি বেগম একাউন্ট নাম্বার-৯৯৯০০৮০০৮ সোনালী ব্যাংক বালাগঞ্জ শাখা সিলেট আরো জানতে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করোন। বিকাশ নাম্বার আলিম উদ্দিন ০১৭১২ ০৪ ৬৮ ৫৭।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd