যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি অধ্যাপক আহমেদ জামাল গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২:০৭ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস অঙ্গরাজ্যের লরেন্সে অভিবাসন ও শুল্ক বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশি একজন রসায়নের অধ্যাপক। তার নাম সৈয়দ আহমেদ জামাল। ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস ইনফোর্সমেন্ট আইস কর্মকর্তারা সম্প্রতি তাকে গ্রেফতার করে। পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক সকালে মেয়েকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। ওই সময় বাড়ির সামনে থেকে তিনি গ্রেফতার হন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে বিপাকে পড়ছেন বহু অভিবাসী। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বৈধ কাগজপত্রহীন অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে। সম্প্রতি এ অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। এতে অনেক বাংলাদেশি গ্রেফতার হচ্ছেন।

৫৫ বছর বয়সী অধ্যাপক সৈয়দ জামাল ৩০ বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি মলিকিউলার বায়োসায়েন্স এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক পাশ করেন। তিনি পার্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত ছিলেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালেও গবেষণার কাজ করতেন। একজন বিজ্ঞানী ও সমাজসেবী হিসেবে কানসাসের লরেন্স এলাকায় তিনি সুপরিচিত।

জানা গেছে, ২০১১ সালে জামালের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আইস-এর পক্ষ থেকে তাকে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র প্রস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তার কাজের মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার নির্দেশ দেন অভিবাসন বিচারক।

সৈয়দ জামালের তিন সন্তান মার্কিন নাগরিক। তার পাঁচ ভাইবোনও যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। জামালের স্ত্রী অ্যাঞ্জেলা জয়নব চৌধুরী গত বছর নিজের একটি কিডনি দান করে এক মার্কিন নাগরিকের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তিনি নিজে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। অধ্যাপক জামালের বিরুদ্ধে অপরাধের কোনো রেকর্ড নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

এদিকে, অধ্যাপক সৈয়দ আহমেদ জামালের গ্রেফতারের ঘটনায় তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা হতবাক হয়েছেন। আইস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের আদেশ ছিল। সৈয়দ আহমেদ জামালের মুক্তি এবং তাঁকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ কমিউনিটির অনেকেই।

ইতিমধ্যেই ফেসবুকে ‘ফ্রি সৈয়দ আহমেদ জামাল’ নামে ফেসবুক পেজ তৈরি এবং বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীরা মুক্তি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

February 2018
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728  

সর্বশেষ খবর

………………………..