গ্রামীণফোনে যৌন হয়রানি ও সমকামিতায় উৎসাহ!

প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০১৮


Manual6 Ad Code
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গ্রামীণফোনের সিডিএম শাখার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এডমিনের ট্রেনিং শাখার এক নারী কর্মকর্তার রূপ-গুণে মুগ্ধ হন। সিডিএম শাখার ওই কর্মকর্তা ছিলেন বিবাহিত। আবার ট্রেনিং শাখার ওই নারী কর্মকর্তাও ছিলেন বিবাহিত। বিষয়টি জানার পরও ওই নারী কর্মকর্তাকে অনৈতিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন ওই কর্মকর্তা। ওই নারী কর্মকর্তা এমন আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন। এরপরই তার উপর খড়গ নেমে আসে। কারণে অকারণে তার ডিউটি টাইম নির্ধারণ করা হয় সন্ধ্যার পর থেকে।

রাতে অফিসে ওই নারী কর্মকর্তার ওপর চলে বিভিন্ন ধরনের মানসিক নির্যাতন। এতেও ওই নারী কর্মকর্তা দমে যাননি। একপর্যায়ে তাকে বরিশাল আঞ্চলিক অফিসে বদলি করা হয়। স্বামী-সন্তান ঢাকায় ফেলে বরিশাল যেতে চাননি তিনি।

ফলে একটা পর্যায়ে বাধ্য হয়েই ওই নারী কর্মকর্তা চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এতে তিনি সব ধরনের আর্থিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। গ্রামীণফোন থেকে এভাবে নির্যাতনের মুখে চাকরি ছেড়ে আসা একজন নারী কর্মকর্তা  এ সব কথা বলেন। শুধুই একটি ঘটনা নয়, এমন অহরহ যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনে।

আবার গ্রামীণফোনে একশ্রেণির কর্মকর্তা আছেন যারা নারী কর্মীদের কাছ থেকে ‘ভাইয়া’ ডাক শুনতে পছন্দ করেন। কারণে অকারণে তাদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চান। দুপুরে বা বিকালে এক সঙ্গে খাবারের অফারও দেয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের আড্ডায় বড় কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জন না করতে পারলে, তাকে পরবর্তীতে ডিউটি টাইম পরিবর্তন করে রাতে দেয়া হয়। এতে বিপাকে পড়ে অনেকে নারীই চাকরি ছাড়েন বা ‘ভাইয়া’দের খুশি করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া রাতের বেলা গ্রামীণফোনের কোনো অনুষ্ঠান থাকলে সেখানে নারী কর্মকর্তাদের উপস্থিত হতে অনেকটাই বাধ্য করা হয়। অতিথিদের সঙ্গে নারী কর্মকর্তাদের মদপান করতেও উত্সাহিত করের ঊর্ধ্বতনরা।

ঢাকার বাইরে আঞ্চলিক অনুষ্ঠান, সভা ও প্রচারণার অংশ হিসাবে সুন্দরী নারী কর্মকর্তাদের বেশিরভাগ সময় সেখানে পাঠানো হয়। ওইসব স্থানে হোটেলে রাত্রিযাপনে গ্রামীণফোনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নারীদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে বিদেশ থেকে ঊর্ধ্বতনরা এলে তাদের সঙ্গে অফিসিয়াল প্রোগ্রামের নাম করে ঢাকার বাইরে পাঠানো হয় সুন্দরী নারীদের।

Manual8 Ad Code

কিছুদিন আগেও এক নারী কর্মীকে ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার সঙ্গে কক্সবাজার পাঠানো হয়। সেখানে ওই কর্মকর্তা একটি বিলাসবহুল হোটেলে নারী কর্মকর্তাকে রাতে সুইমিং করার প্রস্তাব দেয়। ওই নারী কর্মকর্তা সুইমিং কস্টিউম পরে আসলেও তাতে ওই কর্মকর্তার মন ভরেনি। তিনি ওই নারীকে আরো শর্ট পোশাক পরে আসার প্রস্তাব দেন। বাধ্য হয়ে ওই নারী কর্মকর্তা সেদিন রাতে শর্ট পোশাক পরে সুইমিং করেন। ঢাকায় ফিরে ওই নারী চাকরি থেকে ইস্তফা দেন।

Manual4 Ad Code

এভাবে মানসিক নির্যাতন সহ্য করেই অনেক নারী এখনো চাকরি করে যাচ্ছেন গ্রামীণফোনে। আর যাদের উপর নির্যাতনের পরিমাণ বেশি তাদের অনেকেই চাকরি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিস চলাকালীন সময়ে গ্রামীণফোনের নারী কর্মকর্তাদের ড্রেস কোড মেনে চলতে হয়। বিশেষ করে পশ্চিমা ঘরানার পোশাক বাধ্যতামূলক করা হয় সুন্দরী নারী কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে। যদিও গ্রামীণফোনে এ ধরনের ড্রেস কোড নেই। কিন্তু গ্রামীণফোনে তথাকথিত শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের মনবাঞ্ছা চরিতার্থ করতে, ইচ্ছা করেই নারী কর্মকর্তাদের ওপর প্রগতিশীলতার নামে ড্রেসে কোড চাপিয়ে দেয়। আবার রাজধানী বা রাজধানীর বাইরে কোনো অনুষ্ঠানে নারী কর্মকর্তাদের পশ্চিমা ধাঁচের ড্রেস কোড থেকেও ছোট পোশাক পরতে বাধ্য করা হয়। নারী কর্মকর্তাদের বলা হয়, ‘কর্পোরেট কালচারে এ সব মেনে চলতে না পারলে এখানে চাকরি করা যাবে না।’

Manual8 Ad Code

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ হলেও গ্রামীণফোন বিভিন্নভাবে সমকামিতাকে উত্সাহিত করছে। সমকামিতার পক্ষে তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে। সম্প্রতি গ্রামীণফোনের অর্থায়নে নির্মিত সমকামিতা নিয়ে একটি নাটক একটি টেলিভিশন চ্যানেল প্রচার করে বিপাকে পড়ে। পরে বাধ্য হয়ে ওই টেলিভিশন চ্যানেলটি নাটক প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হয়।

জানা গেছে, এর মধ্যে সমকামিতার পক্ষে একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানেও অর্থ দিয়েছে গ্রামীণফোন। মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এই ধরনের বিকৃত রুচির বিষয়গুলো ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক অবক্ষয়ের কাজটিও গোপনে করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন।

Manual4 Ad Code

সূত্র: ইত্তেফাক

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..