জাফলংয়ে পাথরখেকোদের কাছ থেকে এসঅাই বদিউজ্জামানের চাঁদাবাজি

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০১৮

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : গোয়াইনঘাটের জাফলং পাথর কোয়ারীতে চলছে পাথর উত্তোলনের মহোৎসব । অবৈধ পাথর উত্তোলন কারি একটি পাথর খেঁকো চক্র এই মহোৎসবে মেতে উটেছে । পাথর খেঁকোদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলেছেন গোয়াইনঘাট থানার এসআই বদিউজ্জামান।

সূত্রে জানা গেছে, খান্দুবস্থি এলাকায় একটি পিয়াইন সমিতি রয়েছে এই সমিতির নেতৃত্বে পাথর খেঁকো চক্ররা লাখ,লাখ টাকা কামাই করার উদ্দেশ্যে অবৈধ গর্ত দিয়ে পাথর উত্তলন করছেন ।
এসব পাথর উত্তেলনের সূযোগ করে দিচ্ছেন, গোয়াইনঘাট থানার এসআই বদিউজ্জামান। প্রতি রাতে পাথর খেঁকোদের নিকট থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেন এসআই বদিউজ্জামান।

প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় উপজেলার কতিপয় চাঁদাবাজ সংবাদকর্মীদেরও আন্ডারগ্রাউন্ডে খেঁকোদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রকাশ্যে এসকল অবৈধ বোমা অনায়াসে চাঁদা উত্তোলনের কাজ সাড়ছেন ।

গোয়াইনঘাট থানার এসআই বদিউজ্জামান নিজের চাকুরি বহাল রাখতে চাঁদার একটি অংশ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট পৌছে দেন ।

রহস্যজনক হলেও সত্য যে, উল্লেখিত পাথর খেঁকোদের বিরুদ্ধে ওসির নিকট যদি কোন অভিযোগকারী অভিযোগ দিতেন তাহলে বদিউজ্জামান উল্টো ওই অভিযোগকারীকে মিথ্যা,ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন মামলা,মোকাদ্দমার হুমকি দিয়ে সড়িয়ে রাখতেন ।

এমনটি সত্যতা বেরিয়ে এসেছে অনূসন্ধ্যানি তদন্ত প্রতিবেদনে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাফলং এলাকার এক ব্যাবসায়ী জানান, তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিতে গেলে ওসি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন এসআই বদিউজ্জামান । এবং এরকম একজন লোককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে চালান দিয়ে দেন বদিউজ্জামান ।

এরপর থেকে স্থানীয় এলাকার অনেকে মামলার ভয়ে পরিবেশ বিনষ্ট নিয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় । তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গোয়াইনঘাট থানার এসআই বদিউজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে এসকল আলামত সহজেই বের হয়ে আসবে । দুহাতে টাকা বানানোর হিসাব-নিকাশও সহজে পাওয়া যাবে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..