সিলেট ২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২১শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৭
ক্রাইম ডেস্ক : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাসায় তিন দিন ধরে অনশন করছেন এক কাতার প্রবাসীর স্ত্রী।
বুধবার থেকে উপজেলার রামদিয়া বাজারে প্রেমিক বিপ্লব দাসের বাসায় এ অনশন শুরু করেন ওই নারী।
বিষয়টি স্থানীয়রা সমাধান করার আশ্বাস দিলেও বর্তমানে প্রেমিক বিপ্লব দাস (২৫) বাসা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছেন।
এদিকে বিয়ের দাবি না মানলে প্রেমিকের বাসায় আমরণ অনশন করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী।
তিনি রামদিয়া সরকারি এসকে কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
জানা গেছে, তিন বছর আগে কাশিয়ানীর নিজামকান্দি গ্রামের তরুণীর সঙ্গে একই উপজেলার জোতকুরা গ্রামের এক তরুণের বিয়ে হয়।
এর কিছু দিন পর ওই তরুণ কাজের সন্ধানে কাতারে চলে যান। এর পর থেকে রামদিয়া গ্রামের গোবিন্দ দাসের ছেলের সঙ্গে তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
একপর্যায়ে গত ১৯ ডিসেম্বর তারা দুজন পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার পানিপাড়া অরুনিমা রিসোর্টে ঘুরতে যান। রিসোর্ট থেকে বাড়ি ফেরার পথে ৫-৬ যুবক সংঘবদ্ধ হয়ে তরুণকে মারপিট করে এবং তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা আত্মচিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে ওই দুর্বৃত্তদের হাত থেকে তাদের দুজনকে রক্ষা করেন।
এ সময় তরুণীর কাছে থাকা স্বর্ণালঙ্কার কেড়ে নিয়ে যায় ওই যুবকরা। পরে তারা রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় নড়াগাতী থানায় গিয়ে ওই যুবকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে।
এ খবর এলাকায় জানাজানি হলে ওই তরুণী লোকলজ্জার ভয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক তরুণের বাসায় অনশন শুরু করেন। এ ঘটনার পর থেকে ওই প্রেমিক তরুণ এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
তরুণী অভিযোগ করে বলেন, ‘সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে এবং আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এখন সে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’
ওই তরুণের বাবা গোবিন্দ দাস তরুণীর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আমার ছেলের কোনো সম্পর্ক নেই। সমাজে আমাকে হেয় করার জন্য বিয়ের দাবিতে সে বাসায় আসে।’
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তরুণের বাসাই তরুণী অবস্থান করছেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি একেএম আলীনুর হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd