সিলেট ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৭
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট সদর উপজেলার ৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পিরপুর গ্রামের শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর সুরমা নদী ভাঙ্গনের কবলে বিলিন হয়ে গেছে। সুরমার করালগ্রাসে তলিয়ে গেছে গ্রামের ধন মিয়া ও মাসুক মিয়া, শানুরি বেগম, আমিন উদ্দিন, আব্দুস সালাম, সাবুল উদ্দিন, জুনেদ আহমদ, মকবুল হোসেন, আকতার হোসেন, ফারুক আহমদ, মাশুক আহমদের বাড়িঘরসহ নদীর ঘাটের সিঁড়ি ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে সুরমা গভিরে। এদিকে ১নং ওয়ার্ডের চরুগাঁও সহ আরো কয়েকটি গ্রামে পানি কমার সাথে-সাথে নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এ ভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে পিরপুর ও গৌরিপুরের শত-শত বাড়ী-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে অচিরেই।
এ দিকে সুরমা নদীর ভাঙ্গনের খবর পেয়ে ভাঙ্গনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন সিলেট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদ,৬নং টুকেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুস শহীদ। উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে খবর পেয়ে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শণ করেছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডে শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে সকলেই এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ জনগণকে শান্তনা দিতে গিয়ে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। কিন্তু ভাঙ্গর কবলিত এলাকা পরিদর্শনের প্রায় সপ্তাহ চলে গেলেও নেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ। ফলে প্রতিদিনই নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে এলাকার নতুন-নতুন বসত বাড়ি ঘর। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী সিলেট সফরে আসলে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের কথা রয়েছে। পিরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল রিপন জানান, দীর্ঘদিন থেকে পিরগ্রামের অর্ধেক বসতি নদীর করালগ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাঙ্গনের মাত্রা। ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার এনাম হোসেন বলেন, শিঘ্রই নদী ভাঙ্গনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পিরপুর গ্রাম সুরমার কবলে বিলিন হয়ে যাবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd